কাপ্তাইয়ে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনার মূল হোতা গ্রেপ্তার : অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন বাঙ্গালহালিয়ায় চট্টগ্রামের রাউজানের এক কাতার প্রবাসীর বাগান বাড়ি থেকে চাঞ্চল্যকর নুরুল আলম (৩৫) অপহরণ ও ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় আব্দুস সালাম (৬০) নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহারের নের্তৃত্বে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ।
উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ মাহফুজ ও এএস আই সোহেল ও ইকবাল সঙ্গীয় পুলিশের সহায়তায় অভিযানে আসামীর দেওয়া তথ্যমতে একটি এক নলা বন্দুক ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়য়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মীরের খিল জঙ্গল সরফভাটা পাহাড়ী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ। তিনি ওই এলাকার নজির আহমদের পুত্র।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর অপহরণের ৬৩ ঘণ্টা পর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে উদ্ধার হওয়া নুরুল আলম রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের কাতার প্রবাসী সাংবাদিক ও চট্টগ্রাম সমিতি কাতারের সাধারণ সম্পাদক নুর মুহাম্মদের ছোট ভাই। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে ১০ থেকে ১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়া ধলিয়া মুসলিম পাড়ার ‘মিম কৃষিজীবী খামারে’ ঢুকে নুরুল আলমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৮ দিন আগে আব্দুস সালামসহ আরও বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে রাউজান উপজেলার বাসিন্দা নুরুল আলমকে অপহরণ করে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করা হয়। ঘটনার নেপথ্য নায়ক গ্রেপ্তার আব্দুস সালাম।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আব্দুস সালাম বাবা নামে এলাকায় পরিচিত। তাঁর পরিকল্পনায় সংঘবদ্ধ স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্র নুরুল আলমকে তাঁর খামার বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল।
অপহরণের ঘটনায় নুরুল আলমের ভাই মো. কুতুব উদ্দিন গত ১২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসীকে আসামি করে চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তি নুরুল আলম অপহরণ ঘটনার মূল হোতা। তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে আজ বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।