উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল সাংবাদিকদের জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার ৪.৩০ দিকে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, ছাদ ঢালাই এর পরও অনেক অংশ নিচের দিকে দেবে গেছে, ছাঁদ ছুয়ে পানি পড়ছে এবং ছাদের নিচের কয়েক ইঞ্চি কলাম বেঁকে গেছে, তড়িগড়ি করে প্লাস্টিক বেঁধে জোড়াতালি দিয়ে প্লাস্টার অংশকে ঢাকানোর চেষ্টা করছে, তাই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে ফোনে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করি।
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়সীম বড়ুয়া জানান, রবিবার দুপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহমেদ এবং বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেলসহ নির্মাণ কাজ পরিদর্শণে যাই। পরিদর্শণ কালে নির্মাণাধীন ভবনের ছাঁদে কয়েক জায়গায় ছাঁদ ছুয়ে পানি পড়তে দেখা যায় এবং পিলার বাঁকা অবস্থায় পাওয়া যায়। সাথে সাথে নির্বাহী কর্মকর্তা কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এই বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে, নির্মাণ কাজের দায়িত্বরত রাংগামাটি জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: মোস্তফা এই প্রতিবেদককে জানান, বৃষ্টির কারনে মাটি দেবে নরম হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারা সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্কুল পরিদর্শনে যাবেন। ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন এই ভবনের নির্মাণ কাজের অনিয়মে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।