কাপ্তাইয়ে স্বামীর লিভার সিরোসিস ও স্ত্রীর ২ টি কিডনি নষ্ট
মানবিক সহায়তা কামনা
তাদের ঘর, সংসার, ব্যবসা, সম্পত্তি, সুখ সব ছিলো। সুখের এই পৃথিবীতে তাদের দিনগুলো সুখে কাটছিলেন কিন্ত অজানা এক ঝড় এসে সব কিছু তছনছ করে দেয় তাদের। গত দেড় বছর যাবৎ মরণব্যাধি লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মোস্তফা মিয়া (৩৮) ও তারঁ স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩০)।
উপরের শিরোনামে যাদের কথা ব্যক্ত করা হয়েছে তাঁরা হলেন, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ের ৫নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শিলছড়িস্থ ভেলুয়াছড়া বাসিন্দা মোস্তফা মিয়া। ইতিমধ্যে চিকিৎসার জন্য সব হারিয়ে এখন অন্যের ভাড়া করা ঘরে বসবাস করছেন তাঁর পরিবার। নিজের চিকিৎসার করার পাশাপাশি মরার উপর খাড়ার ঘাঁ এর মতো দাঁড়িয়েছে নিজ স্ত্রী নাছিমা বেগমের অসুখও । দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ তার স্ত্রীর দু’টি কিডনী সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে স্ত্রীর চিকিৎসা করতে দু’দিন পর পর চট্রগ্রামে কিডনি ডাইলোসিস কেন্দ্রে গিয়ে কিডনি ডাইলোসিস করতে মাসে খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো। এছাড়া মোস্তফার মাসে তিনটি ইনজেকশন বাবদ খরচ হয় তিন হাজার। প্রতি মাসে স্বামী-স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ লাগে ৪০ থেকে ৫০হাজার টাকার মতো। এরই মধ্যে মোস্তফার গলায় ৫টি রিং বসানো হয়েছে। মোস্তফার গত কয়েকদিন যাবত মুখ ও মল পথে রক্ত ঝরছে।
গত সোমবার এই প্রতিনিধিকে অঝোঁর কান্না কন্ঠে মোস্তফা জানান, আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সর্বস্তরের লোকজনের সাহায্য সহযোগিতা চাই। এদিকে স্ত্রী নাছিমা বেগমও তাদের বাঁচাতে সর্বস্তরের লোকজনের নিকট মানবিক সাহায্যর আবেদন জানান। পঁয়ষট্টি বছর বয়সী মোস্তফার বৃদ্ধ মা হোসনেয়ারা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, ছেলে ও তার স্ত্রী চিকিৎসা বাবদ সব হারিয়ে এখন পথে বসেছে। কখনো খায় কখনো না খেয়ে রাত্রি যাপন করছি।সংসারে বৃদ্ধ মা, এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে, ৪ ভাই ৩ বোনের সংসারের এদের দু’জনের চিকিৎসা বাবদ সহায়-সম্বল সব হারিয়ে এখন পথে বসেছে এই পরিবার।
তাদের কান্নায় আকাশ ভারি হয়ে উঠেছে। ছেলে-বৌর চিকিৎসার জন্য সমাজ তথা প্রবাসী, এনজিও, বিত্তবানসহ সর্বস্তরের লোকজনের নিকট সাহায্যের আবেদন জানান এই পরিবার।
মোস্তফা মিয়া চট্রগ্রামের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. শাহাদাত হোসেন ও স্ত্রী নাছিমা বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার এম এস হায়দার রশ্নীর চিকিৎসা ও পরামর্শ নিচ্ছেন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এই দুই চিকিৎসক জানান, তাঁরা আমাদের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘমেয়াদী।
৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সরোয়ার হোসেন তাদের পরিবারের এই দূর্দশার কথা স্বীকার করে জানান, আমরা সকলে তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছি এবং সকলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
তাদের সাহায্য ও যোগাযোগ করার ঠিকানা মো.মোস্তফা মিয়া -০১৮৫-১৩৯৪০০২(বিকাশ)। নাছিমা বেগম হিসাবনং-৫৪০৩১০১০১১১৩৮ সোনালি ব্যাংক লিঃ বড়ইছড়ি শাখা কাপ্তাই, রাঙামাটি।