কাপ্তাইয়ে ১৩ কোটি টাকার মডেল মসজিদ নির্মাণে মন্তর গতি
রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় ১৩ কোটি টাকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতি কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চলছে মন্তর গতিতে। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজের, কাজ কিছুই হয়নি। সিংহ ভাগ কাজ এখনও অধরা। কবে নাগাদ শেষ হবে তার কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়ি পুরাতন কেন্দ্রীয় মসজিদ ভেঙ্গে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য ২০০১৯ সালের নভেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। মডেল মসজিদের নির্মাণের দরপত্র আহবান করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাঙ্গামাটি এবং ঠিকাদারী কাজ পায় শেফাত এন্টার প্রাইজ।
এদিকে শেফাত এন্টার প্রাইজ ঠিকাদার ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, আমরা প্রায় ২০১৯ সালের নভেম্বর হতে এ মডেল মসজিদ নির্মাণের কার্যক্রম করি। আমরা প্রায় তিন কোটি টাকার কাজ করেছি। তার মধ্যে আমরা পেয়েছি মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা। এদিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে গণপূর্ত বিভাগ ফান্ডে টাকা নেই বলে জানান।
তিনি আরো জানান, মসজিদের পাশের পাহাড় নিয়ে আনসারের মধ্যে জটিলতা রয়েছে। মসজিদের ৪৭টি ফুটিং বেইজের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪১টি করা হয়েছে, আরো বাকি রয়েছে ৬টি। চলতি শুস্ক মৌসুমে এ বাকি ৬টি ফুটিং বেইজ করা না গেলে বর্ষা মৌসুমে করা কঠিন হবে বলে উল্ল্যেখ করেন তিনি।
মসজিদের পাশে আনসার ব্যাটলিয়নের সাথে পাহাড় বা সীমানা নিয়ে জটিলতার ফলে গত ২৫ জানুয়ারী কাজ বন্ধ রয়েছে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানান।
এদিকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মুনতাসির জাহান বলেন,কবে নাগাদ কাজ বন্ধ রয়েছে বা কি সমস্যা আমাকে কেউ জানায়নি। তিনি আরো বলেন, সরকারের এ মেগা প্রকল্পের কাজ বন্ধ হতে পারেনা।
এদিকে রাঙ্গামাটি গর্ণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী সমিধ তালুকাদার(এসডিও)র,সাথে ফোনে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নির্মাণকাজ বন্ধ কথা অস্বীকার করে বলেন,ডালাই কাজ হয়েছে তাই নির্মাণ শ্রমিকরা বাড়িতে ছুটিতে গেছে, আগামি ১৫দিনের মধ্যে আবার ফিরে এসে কাজ করবে । তবে তিনি জায়গা বা ফান্ড সমস্যা নিয়ে কোন কিছুই বলেননি।
এদিকে রাঙ্গামাটি জেলা ইসলামিক ফাউনেন্ডশন উপ পরিচালক মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, সরকারের এত বড় মেগা প্রজেক্ট মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ ধীরে হচ্ছে। নির্মাণ কাজের গতি আরো দ্রুত বাড়ানোর জন্য আহবান জানান তিনি।