কারাগারে পাঠানো হলো লক্ষীপদ দাস’কে

পুলিশের বিশেষ অভিযানে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের দূর্ণীতিবাজ সদস্য লক্ষীপদ দাসকে ঢাকায় গ্রেফতারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় আজ বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে বান্দরবানে আনা হয়েছে। প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বান্দরবান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা এর আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ভোরে ঢাকার পুলিশের বিশেষ অভিযানে ঢাকা কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বহুল আলোচিত ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাসকে। গ্রেফতারের পর ঐদিন দুপুরে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসে নিয়ে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আজ সকালে বান্দরবানে আনা হয় লক্ষীপদ দাশকে।

NewsDetails_03

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, লক্ষীপদ দাসের বিরুদ্ধে নাশকতা’সহ ৪টি মামলা রয়েছে বান্দরবান থানায়। এছাড়াও দূর্ণীতি দমন (দুদক) আইন’সহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও একাধিক মামলা রয়েছে বিভিন্নস্থানে। গত ৫আগস্ট গনঅভ্যুত্থানের পর থেকেই পলাতক ছিলেন ক্ষমতার অপব্যবহারকারী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের দূর্ণীতিবাজ সদস্য লক্ষীপদ দাস।

এবিষয়ে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর করিম বলেন, ভাংচুর ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনার ৫টি মামলায় এজাহারভূক্ত আসামী বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাসকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাস দীর্ঘ ২১ বছর ধরে বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক এর পদ দখল করে রাখেন বলে অভিযোগ করেন হিন্দু সম্প্রদায়।

আরও পড়ুন