অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটাবে আগামী ২ মে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে। এদিন জানা যাবে সংগঠনের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন, এ নিয়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। অপেক্ষায় আছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও। নেতাকর্মীরা আবারও মূল আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। সর্বত্র আলাপ-আলোচনা চলছে নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন।
এখানে কাউন্সিলরদের সমর্থন পেতে তৎপর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারা ব্যস্ত লবিং-গ্রুপিংয়ে। আসন্ন সম্মেলনে কোনো চমক থাকছে, নাকি পুরনো নেতৃত্বই বহাল থাকছে এসব নিয়েও দলীয় পরিমন্ডল থেকে চায়ের দোকানে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সবকিছু নির্ভর করছে জেলা আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারকের ওপর, এমনটিই মনে করেন সবাই।
আওয়ামীলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। বিশেষ অতিথি বান্দরবান জেলা আ. লীগের সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মার্মাসহ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতারা।
দলীয় সূত্রে আরও জানায়, প্রায় আট বছর আগে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলহাজ্ব হাবিব উল্লাহ চেয়ারম্যান সভাপতি ও তসলিম ইকবাল চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এই কমিটি মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ার পর আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। সে আহ্বায়ক কমিটি সম্মেলন উপহার দিতে না পারায় ফের নতুন করে আহবায়ক কমিটি পরির্বতন হয়।
বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানী বলেন, যারা সংগঠনের কোন কাজ না করে শুধু পদের দরকার এবং নেতা-কর্মীর ভাল মন্দ খোঁজ খবরও রাখেনা তাদের সাথে আমরা নেই, এদের উপর দলের নেতা কর্মীরা ক্ষুব্ধ।
একাধিক নেতারা মনে করছেন, আবারও সাধারণ সম্পাদককে তসলিম ইকবাল চৌধুরীকে নির্বাচিত করলে আওয়ামীলীগ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। তবে তসলিম ইকবাল চৌধুরী কোন পদে লড়ছেন তা এখনো জানা যায়নি। পাশাপাশি দলটির সভাপতি পদে লড়াই করতে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগ সিনিয়র নেতা অধ্যাপক এম, শফি উল্লাহ, যুগ্ন-আহবায়ক আবু তাহের কোম্পানী ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ তারেক রহমানের নাম উচ্চারিত হচ্ছে।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য সচিব মোঃ ইমরান মেম্বার,সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি চু চো মং মার্মা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মং হ্লা মার্মা, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ সিরাজুল হকসহ আরও কয়েক জন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে, তবে এই পদে ইমারন মেম্বার অনেক এগিয়ে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।