খাগড়াছড়িতে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৮১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৩৮ ভোট। সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা ৯ হাজার ৫২৬ ভোট এবং আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা আল-ইহযায পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৫৬ ভোট।
খাগড়াছড়িতে মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪১৯ জন। এবারে প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৩। যা মোট ভোটের শতকরা ৪৯.৯৮ শতাংশ। এরমধ্যে বাতিল হয়েছে ৭ হাজার ৮৫৭ ভোট। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সহিদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে কোন ভোটই পড়েনি। তার মানে এইসব কেন্দ্রে দিনভর কোন ভোটারই ভোট দিতে যাননি।

প্রসিত খীসা’র নেতৃত্বাধীন ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)’-এর প্রভাবাধীন এই এলাকাগুলোতে তারা নির্বাচন বর্জন এবং ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বেপরোয়াভাবে বাধা প্রদান করেন। মূলত: দলটির বিধি নিষেধের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
শূন্য ভোটপড়া কেন্দ্রগুলো হলো যথাক্রমে: লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিষ্টমনি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় পানছড়ি (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুদুকছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র একটিই।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলায় ৯ উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৪’শ ১৯টি। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ৯১ হাজার ৩’শ ৯৪টি, দীঘিনালায় ৮৮ হাজার ৩’শ ৭৭টি, লক্ষীছড়িতে ২১ হাজার ১’শ ৮৫টি,মহালছড়িতে ৩৫ হাজার ৯’শ ২৩টি,মানিকছড়িতে ৫৪ হাজার ১’শ ৭৯টি,গুইমারায় ৩৪ হাজার ৬’শ ৫২টি, মাটিরাঙ্গায় ৮৮ হাজার ৭’শ ৬০টি,পানছড়িতে ৫৫হাজার ৯৭টি এবং রামগড় উপজেলায় ৪৫হাজার ৮’শ ৫২টি। জেলায় ১৯৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।