কেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না ভোটাররা

NewsDetails_01

ছবি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন (ফাইল ছবি)
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল ফোন ব্যবহারেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কেন্দ্রের ভেতরে কেবল প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের ইনচার্জ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। ভোটাররা কেউ মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে গেলেও তা বন্ধ রেখে যেতে হবে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, ভোটাররা কোনোভাবেই বুথ বা কেন্দ্রের ভেতরে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তিনি বলেন, ভোট দিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন পড়বে না। তবে ভোটারের এনআইডি নম্বর, ভোটার নম্বর বা স্মার্ট কার্ড সঙ্গে থাকলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বের করতে সুবিধা হবে।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার প্রক্রিয়ার বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা হবে। প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রেই ভোট গণনা করবেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রার্থীর এজেন্টেরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। ভোট গণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার লিখিত ফলাফল সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করবেন। পরে এ ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানো হবে। রিটার্নিং অফিসাররা তা ইসিতে পাঠাবেন। ইসির ফোয়ারা প্রাঙ্গণে স্থাপিত মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে। ওই চত্বরে ইসি দশটি মনিটরের মাধ্যমে ফলাফল প্রদর্শন করবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মোখলেসুর রহমান বলেন, ইভিএমের ভোট কেন্দ্রে স্মার্টকার্ড বাধ্যতামূলক নয়, তবে নিয়ে গেলে ভোট দেওয়া সহজ হবে। নির্বাচনের নিরাপত্তায় ইসির তরফে প্রায় ৭ লাখের কাছাকাছি নিরাপত্তা সদস্য, সাত লাখ বেসামরিক কর্মকর্তা ও এক লাখ পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও অন্যান্যরা থাকবেন। আশা করি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই হবে। পোলিং অফিসারদের সকাল ৮টার আগেই প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে নিয়োগপত্র দেখাতে হবে। এসব বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ইসি ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ইসি যতগুলো অভিযোগ পেয়েছে সবই তদন্ত কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মামলা করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন