কেপিএম সিবিএ সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

NewsDetails_01

মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলি পেপার মিলস (কেপিএম) লিমিটেডের সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু এর বিরুদ্ধে গত ২৩ মে রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সেই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মামলার বাদী ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন এর ৬ নং ওয়ার্ডের কেপিএম হাউজিং কলোনীর ৬ নং লাইনের বসবাসকারী এস এম ইমরান হাসান। তাঁর পিতার নাম মোঃ দাউদ আলী। ইমরান হাসান কেপিএম মিলে কর্মরত আছেন এবং তিনি কেপিএম ওয়ার্কাস ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক।

কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু মৌখিক অভিযোগে এই প্রতিবেদককে জানান, মামলার বাদী প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তাঁরা জানান, বাদী ইমরান হাসান মামলার আর্জিতে অভিযোগ করেন গত মাসে ২৪ এপ্রিল আমরা নাকি বাদীর কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছি। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় নাকি আমরা বাদীর পরনের প্যান্ট হতে ৫ হাজার টাকা চুরি করি এবং নাকি বাদিকে রাত ১২ টা হতে সাড়ে ১২ টার মধ্যে বলপূর্বক ৬ নং লাইন হতে তুলে নিয়ে রাতভর কেপিএম ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনিতে বেঁধে রাখি এবং নির্যাতন করি।

তাঁরা আরোও জানান, মামলার ঘটনাস্থল ইঞ্চিনিয়ারিং কলোনি হতে আমাদের বাসার দূরত্ব বারঘোনিয়া কলোনি প্রায় আধা কিলোমিটারের বেশী। বারঘোনিয়া কলোনি থেকে ইঞ্চিনিয়ারিং কলোনি যেতে হলে প্রথমে কেআরসি স্কুল তার কিছু দুর পরে কেপিএম এমডি বাংলা গেইট সিকিউরিটি পোষ্ট এবং অফিসার বাংলা ও শিশু বিদ্যালয় সিকিউরিটি পোষ্ট পার হয়ে যেতে হয়। এছাড়া এই কলোনির পশ্চিম পাশে ডিসিএল বাংলা পুলিশের ক্যাম্প, দক্ষিণে কে আর সি এবং কেপিএম প্রশাসনের গেইট সিকিউরিটি পোষ্ট এবং পূর্বে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে কেপিএম এর-ওয়াটার প্ল্যান্ট সিকিউরিটি পোষ্ট ও উত্তরে অফিসার বাংলা সিকিউরিটি পোষ্ট রয়েছে।

আর এই ইঞ্চিনিয়ারিং কলোনিতে বসবাস করেন স্থায়ী ও অস্থায়ী অনেক শ্রমিক কর্মচারী। বারঘোনীয়া কলোনি ৬ নং লাইন ইমরানের বাসা থেকে ইমরান কে টেনে হিছড়ে নেওয়ার সময় ইমরানের বাসার দুই পাশের কেউ দেখছে কিনা এবং কোন জনপ্রতিনিধি এই ঘটনা শুনছে কিনা আপনারা সাংবাদিকরা খবর নিয়ে দেখতে পারেন।

NewsDetails_03

এই বিষয়ে ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মামুন এবং ঘটনাস্থল ইঞ্চিনিয়ারিং কলোনির ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল হাসনাত খোকন জানান, আমরা এই ধরনের কোন ঘটনা শুনি নাই।

১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, আমি এই ধরনের ঘটনা শুনে নাই এবং এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেন নাই।

কেপিএম ডিসিএল বাংলার পুলিশ পরিদর্শক দীপক বড়ুয়া, (বাদী ইমরানকে যেই লাইন হতে তুলে নেওয়া হয়েছে, সেই লাইনে তিনি বসবাস করেন) জানান, এই ধরনের কোন ঘটনা আমি জানি না, এবং কোন ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে আমরা থানাকে অবহিত করি।

কেপিএম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন এর নিকট শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একমাস আগে মিল এলাকায় এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি শুনি নাই। তবে বাদীর মামলার পর সিবিএ সভাপতি বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন।

এই বিষয়ে মামলার বাদী এস এম ইমরান হাসান ঘটনা সত্য বলে দাবি করেন।

আরও পড়ুন