ক্রীড়াঙ্গন চাঙ্গা করতে রুমায় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন

একান্ত সাক্ষাতকারে আয়োজক কমিটির সভাপতি মংমং মারমা

NewsDetails_01

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় দীর্ঘ ১৫ বছর পর সাবেক খেলোয়াড়, ক্রীড়ামোদী ও স্থানীয় যুব সম্প্রদায়ের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২০” আয়োজন করেছে।

এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশেষ করে মাদক দূর করে সম্প্রীতির প্রত্যয় ও আস্থা বৃদ্ধি পাবে যুবা সমাজে একে অপরের মধ্যে। আগামী ১৮অক্টোবর রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য “রুমা উপজেলা সম্প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২০” এর মধ্য দিয়ে এলাকাজুঁড়ে সকল শ্রেণি মানুষের মাঝে ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন খেলার আয়োজক সংশ্লিষ্টরা।

পাহাড়বার্তা’কে এসব কথা বলেছিলেন টুর্নামেন্ট আয়োজন কমিটির সভাপতি ও রুমা বাজার আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মংমং মারমা। আজ বৃহস্পতিবার (১৫অক্টোবর) দুপুরে ফুটবল টুর্নামেন্ট নিয়ে তার বিদ্যালয় অফিস কক্ষে এক সাক্ষাৎকারে এ সাবেক খেলোয়াড় ও কমিটি সভাপতি পাহাড়বার্তাকে বলেছেন, বিগত প্রায় ১৫ বছর, উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন হয়নি। এতে করে এলাকার খেলোয়াড়রা এক পর্যায়ে ঝিমিয়ে পড়েছে। প্রতিযোগিতা না থাকায় ক্রীড়ামোদীরা তাদের পারফরমেন্স দেখাতে পারছেনা। কোনো খেলোয়াড় যদি মাঠে তার দক্ষতায় ওঠে না আসে, সে আর সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। দক্ষতা বাড়াতেও প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ প্রয়োজন। এসব কথা-ই স্থানীয় ক্রীড়ামোদীদের মুখে মুখে ওঠে আসছিল অনেকদিন ধরে। তাই ঝিমিয়ে থাকা খেলোয়াড় ও ক্রীড়াঙ্গনকে চাঙ্গা করতে এই সম্প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের একমাত্র লক্ষ্য।

টুর্নামেন্টের নীতিমালা সম্পর্কে সভাপতি মংমং মারমা পাহাড়বার্তাকে’ বলেন, খেলায় প্রতিদলে ৯জন ( নাইন সেট) করে অংশগ্রহণ করবে। এ টুর্নামেন্ট নক আউট পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। প্রত্যেক খেলায় খেলোয়াড়কে মাঠে খোলা পায়ে (বুট ছাড়া) খেলতে হবে। অংশগ্রহণকারী কোনো দল উপজেলার বাইরে ভাড়াটিয়া কোনো খেলোয়াড় আনতে পারবে না।

আয়োজন কমিটি সভাপতি মংমং বলেন, স্থানীয় খেলোয়াড়দের দক্ষতা তৈরি ও যাচাই করা সুযোগ থাকে না। ভাড়াটিয়া খেলোয়াড় কারনে স্থানীয় কোনো ভাল খেলোয়াড় খেলায় তার দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ হারাতে পারে, আশঙ্কা থেকে যায়।

NewsDetails_03

তাছাড়া স্থানীয় যুব সমাজের মাঝে মাদকের আকৃষ্টতা দূর করে এলাকার সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় থাকুক এ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

টুর্নামেন্টের পরিচালনা ও পুরস্কার সম্পর্কে এ সাবেক খেলোয়াড় মংমং পাহাড়বার্তাকে আরো বলেন, খেলা পরিচালনার জন্য ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা কমিটি রয়েছে। তাদের দিয়ে খেলার নিয়ম কানুন বা “বাই ল” প্রস্তত করা আছে। খেলায় সে নিয়মের আওতায় ক্রীড়া সংগঠন ও পাড়া পর্যায় থেকে অংশগ্রহণকারী ৩৮টি সব দল অংশ গ্রহন করবে।

রুমা উপজোর স্থায়ী বাসিন্দা জেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অনেক রেফারি আছে। তাদের দিযে খেলা পরিচালনা করা হবে মাঠে। হয়তো, ফাইনাল খেলায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার উর্দ্ধতনদের সাথে কথা বলে, সুযোগ হলে অভিজ্ঞ রেফারি এনে পরিচালনা করা যায় কিনা, তা কমিটি এর মধ্যে সিদ্ধাস্ত নিতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ফাইনাল খেলায় বিজয়ী দলকে পুরস্কার ও ট্রফি- ২০হাজার টাকা। রানার্স আপের পুরস্কার ট্রফি- ১৪হাজার৫০০ টাকা। তাছাড়া প্রতিটি খেলায় একজনকে ‘ম্যান অব দ্যা ম্যচ’ হিসেবে একজনকে বিশেষ পুরস্কৃত করা হবে।

টুর্নামেন্ট আয়োজনের আয়-ব্যয় আইন শৃঙ্খলা পাহাড়বার্তাকে টুর্নামেন্ট আয়োজন কমিটি সভাপতি মংমং মারমা আরো বলেন, টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে প্রাথমিকভাবে দেড় লাখ টাকা বাজেট করেছিল শুরুতে। তাই এন্ট্রি ফি হিসেবে প্রতি দল থেকে ১৫০১ টাকা ও ফরম-৫০টাকা হয়।

টুর্নামেন্টটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে আর্থিকসহ সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টরা বিভিন্নভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন খেলা চলাকালিন সময়ের জন্য মাঠের বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন টুর্নামেন্ট আয়োজন কমিটির সভাপতি মংমং।

আরও পড়ুন