খাগড়াছড়ি হোটেল মোটেল ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সূত্রমতে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় হোটেল মোটেল মিলিয়ে ৫০-৬০ এবং সাজেকে সেনাবাহিনী, এনজিও ও ব্যক্তি মালিকাধীন পাঁচ শতাধিক হোটেল, গেষ্ট হাউজ ও কটেজ রয়েছে। সাজেকসহ খাগড়াছড়ির অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে যাতায়াত করে এমন পরিবহনের সংখ্যা প্রায় এক হাজারেও বেশী। পাশাপাশি স্থানীয় ও দূরপাল্লার যানবাহন তো আছেই।
খাগড়াছড়ির একটি বেসরকারি হোটেলের ব্যবস্থাপক মো: নয়ন জানান, প্রতিবছরের মতো এবছরও ১০ রমজানের পর থেকে অগ্রীম বুকিং শুরু হয় আমাদের হোটেলে। কিন্তু পাহাড় ধসের ঘটনার পর থেকে অর্ধেকের বেশী বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। এছাড়া পুরো মাস টানা বর্ষণের কারণে আশানুরূপ পর্যটক ছিল না।
খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে চলাচলকারী একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ব্যবস্থাপক মো: বাবলু জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাকৃতিক দূর্যোগের খবর পাওয়ার পর ঈদের দিনসহ পরবর্তী ৩দিনের প্রায় বেশ কিছু আসা যাওয়ার টিকেট বাতিল করেছেন যাত্রীরা।
খাগড়াছড়ির পর্যটন খাতকে বিকাশিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের আন্তরিকতা কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান জানান, প্রতিবারের মতো পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটক ও ঈদ উদযাপনকারীদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুতি রয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত ফোর্সের পাশাপাশি নজরদারী বাড়ানো হবে এবং পুরো জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে বলে জানান।