খাগড়াছড়িতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের সংবাদ সম্মেলন

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী সেনাসদস্য ও তার পরিবারের লোকজন৷ আজ বুধবার সকালে উপজেলার হোটেল ইউনিটি হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ল্যাঃ কর্পোরাল মো. নুর আলম অভিযোগ করে বলেন, “১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবসরে এসেছি। অবসরে এসে নিজের স্ত্রী ও দুই পুত্র নিয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে দীঘিনালার ছোট মেরুং এলাকায় বসবাস করছি। এ এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং রয়েছে। এরা হলো অনিক, রিয়াদ, হযরত, রাজু, শাহনবী ও সুজন। সবাই আমার ছেলের বয়সী। এরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে। তাদের নিয়মিত এ ধরনের কার্যকলাপে আমি তাদের সংশোধন হতে বলি। এরই জের ধরে সম্প্রতি এক রাতে এ কিশোর গ্যাং’র সাথে আমার ছেলে মাদক সেবন করছে-এরূপ মিথ্যা কথা বলে পরিকল্পিত ভাবে আমাকে ছোট মেরুং সংলগ্ন মাইনী নদীর পারে নিয়ে যায় সুজন ও শাহনবী। সেখান থেকে তারা আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে। অন্যথায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ও আমার আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক ভাবে আমার সম্মান ক্ষুন্ন করা সহ আমার প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। আমি নিজের জান বাঁচাতে তাদেরকে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কোন মতে জান নিয়ে ঘরে ফিরে আসি।

NewsDetails_03

এছাড়া সাথে সাথে অনিকের বাবা আবদুর রহমানকে স্বল্পভাবে ঘটনার বিবরণ দিলে সে তার ছেলেকে বাসায় এনে শাসন করে। পরবর্তীতে আমি আমার স্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট ইউপির প্রাক্তন চেয়ারম্যান রহমান কবির রতনের কাছে গিয়ে সবকিছু অবগত করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান৷ পরবর্তীতে রহমান কবির রতন, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. হোসেন ও প্রাক্তন ইউপি সদস্য আবদুর রহমান বিভিন্নভাবে বিষয়টি সমাধান করিয়ে দেওয়ার নামে ও আমাকে হুমকি ধামকি প্রদান করে প্রতারণার মাধ্যমে তিন ধাপে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।

এসময় তারা আমার বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ এনে এলাকাবাসী দিয়ে মানববন্ধন করাবে বলেও হুমকি দেন। সামাজিকভাবে নিজের সম্মান রক্ষার্থে আমি তাদের আবদার মেনে নেই।

এ সময় তিনি ছোটমেরুং উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ সোলায়মানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তুলেন। এবিষয়ে মুঠোফোনে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. হোসেন ও প্রাক্তন ইউপি সদস্য আবদুর রহমান প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগটি পুরোপুরি অস্বীকার করেন।

আরও পড়ুন