খাগড়াছড়িতে নির্মাণের ৬ মাসেই অকেজো গণশৌচাগার

শৌচাগারে বড় বড় ফাটল

NewsDetails_01

প্রয়োজনের তাগিদেই সরকার সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকায় সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করেছে হাজার হাজার গণশৌচাগার। মফস্বলে এসব শৌচাগার নির্মাণের দ্বায়িত্ব পরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপর। কিন্তু নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে যখন চালু হওয়ার ছয় মাসের মাথায় এসব গণশৌচাগার অকেজো হয়ে যায় তখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি এড়িয়ে যেতে পারে?

এমনটাই হয়েছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ছোটমেরুং বাজারে৷ জানা যায়,জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে কেএসডাব্লিউএসএসপি প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অর্থায়নে এখানে নির্মিত হয় একটি গণশৌচাগার। কিন্তু নির্মাণের ছয় মাসেই শৌচাগারের দেয়ালগুলোতে বড় বড় ফাটল ধরেছে। দরজাগুলা অকেজো হয়ে পরে আছে৷ ভেতরের ট্যাংকটিও নষ্ট। সড়কে মানুষ চলাচলেও দুর্গন্ধ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

NewsDetails_03

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে গণশৌচাগারটি তৈরি করায় দেয়ালে বড় বড় ফাটল ধরেছে। পেছনের ট্যাংকটিও নষ্ট হয়ে গেছে। মূল সড়কের পাশে হওয়ার ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আর ভোগান্তিতে পরছে শত-শত মানুষ।

ছোটমেরুং বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আলী আক্ষেপ করে বলেন, ঠিকাদারের ও প্রকৌশলীর গাফিলতির কারছে নির্মাণের ছয় মাসের মাথায় অকেজো হয় পরে আছে শৌচাগারটি। আমি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাইনি৷

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে একাধিকবারেও যোগাযোগ করেও কোন প্রতুত্তর মিলেনি। তিনি বারবার বিষয়টি এরিয়ে গেলেও ঠিকাদার ইউটিমং মুঠোফোনে শৌচাগারটি সংস্কারের আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন