খাগড়াছড়িতে মাথাবিহীন লাশের মাথা উদ্ধার, আটক ৪
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় চাঞ্চল্যকর জাহাঙ্গীর আলম (৫২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাথাবিহীন লাশের মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে প্রতিবেশী পারভেজের বাড়ির সামনে গোবরের স্তূপ থেকে এ মাথা উদ্ধার করা হয়।
ক্লু লেস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরই পুলিশের চৌকস ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে মাঠে নামে। জড়িত সন্দেহে প্রথমে শুক্রবার (১০ জুন) প্রতিবেশী পারভেজকে আটক করে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ির সামনের গোবরের স্তূপ থেকে কাটা মাথা এবং তার বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা, কোদাল উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে আরও তিনজন জড়িত বলে পুলিশকে জানায় পারভেজ। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে আরও তিন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার সকালে দীঘিনালার মেরুংয়ের হাজাছড়া ডেবার পাড় এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলমের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জাহাঙ্গীর আলম বীরবাহু কার্বারিপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। ছোট মেরুং বাজারে তাঁর একটি দোকান ছিল। সেখানে তিনি চা বিক্রি করতেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের কোন ক্লু না পেয়ে শুক্রবার (১০ জুন) রাতেই থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন নিহতের শ্বশুর মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার মেয়ের জামাই খুবই সহজ-সরল মানুষ ছিলেন। তার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা বা বিরোধ ছিল না। তাই আমি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেছি। পরে হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে বলে শুনতে পেরেছি। আমি আমার জামাইয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ বলেন, আমরা চৌকস পুলিশ অফিসারদের মাধ্যমে খুব দ্রুততার সাথে জাহাঙ্গীর আলমের হত্যাকারীকে আটক করতে পেরেছি। প্রথমে সন্দেহভাজন পারভেজ নামে একজনকে আমরা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে নিহতের নিখোঁজ মাথা ও হত্যায় ব্যবহৃত দা, কোদাল আমরা উদ্ধার করেছি। তার দেওয়া তথ্যে এ ঘটনায় আরও তিন জনকে আটক করা হয়েছে। আসামীদের আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা খুব শীঘ্রই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পার