পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ‘র ডাকে পার্বত্য খাগড়াছড়ির পাঁচ উপজেলায় সড়ক অবরোধ শান্তিপূর্ন ভাবে শেষ হয়েছে।
মানিকছড়ি উপজেলায় চাঁদাবাজি করতে এসে গণপিটুনিতে নিহত ইউপিডিএফ কর্মী হ্লাচিংমং মারমার হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে এ অবরোধের ডাক দেয়। অবরোধ চলাকালে কোথাও পিকেটিং করতে দেখা যায়নি অবরোধ সমর্থকদের।
অবরোধের ফলে জেলা শহরের সাথে দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। এছাড়াও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কেও যান চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে জেলার শহর ও বিভিন্ন উপজেলা শহরে ইজিবাইক ও মোটর সাইকেলসহ ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশকোচগুলো সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশি পাহারায় জেলা সদরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
আধাবেলা সড়ক অবরোধ চলাকালে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, যেকোন ধরনের নাশকতা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশী প্রহরায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
গুইমারা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, ভোরে সেহরী খাওয়ার পর থেকেই পুলিশ মাঠে রয়েছে। যানবাহনগুলোকে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌছে দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের কালাপানি স্কুলপাড়া এলাকায় বালুর পয়েন্টে কয়েকজন চাঁদাবাজী করতে এসে গণপিটুনিতে আহত হয় হ্লাচিংমং মারমা। খবর পেয়ে মানিকছড়ি থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসায় তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি মারা যান।