সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট নিমার্ণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ‘সাপমারা ছড়ার উপর সেতু নির্মাণ’ করা হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১২৯ টাকা। প্রায় ৩২ লাখ টাকা সাপমারা ছড়ার উপর সেতু নির্মাণ করা হলেও তা মূলত মাটিরাঙা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হিরণজয় ত্রিপুরা’র পৈতৃক বাড়ি সংলগ্ন স্থানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। শুধু ব্রীজ নয়, ব্রীজের দুপাশের রয়েছে ইট বিছানো সংযোগ সড়ক। যার বাস্তবায়নকারী সংস্থাও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
স্থানীয় বাসিন্দা হেমেন্দু ত্রিপুরা জানান, চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাওয়ার জন্যই সাপমারা ছড়ার উপর ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে চেয়ারম্যানের বাবা বজেন্দ্র ত্রিপুরা বসবাস করেন। এছাড়া ব্রীজটি অন্যদিকে হওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যানের প্রভাবের কারণে তাঁর বাবার বাড়ির কাছেই ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়।
দুলছড়ি গ্রামের হিমেল ত্রিপুরা বলেন, সাপমারা এলাকায় সড়কের অধিকাংশ এখনো কাঁচা। বর্ষা আসলেই কাদা মাটির কারণে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া দুলছড়ি থেকে নতুন পাড়া যাতায়াতের জন্য বেশ কয়েকটি ছড়া পার হতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে সাকোতে ছড়া পার হতে পারলেও বর্ষায় ছড়াতে পানি বাড়লে আর পারাপার করা যায় না। ছড়ার উপর ব্রীজ হলে নতুন পাড়া,দুলছড়ি,পুর্নবাসন,গোমতিসহ বিভিন্ন এলকার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘব হত। মাটিরাঙা সদর ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য সুমন ত্রিপুরা বলেন, বর্তমান সাপমারা থেকে দুলছড়ি হয়ে নতুন পাড়া পর্যন্ত কাঁচা সড়কে ব্রীক সলিং (ইট বিছানো) করা হলে জনগণের দুর্ভোগ কমত। এছাড়াও সাপমারা ছড়ার উপর একাধিক স্থানে ৪টি বড় কালভার্ট ও ৫ টি ছোট কালর্ভাট নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন।
মাটিরাঙার সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিরণজয় ত্রিপুরা বলেন, ‘ছড়ার ওপারে বাড়িতে আমি থাকি না। আমার বাবা মাঝে মধ্যে থাকেন, তবে এখানে ৩-৪ পরিবার বসবাস করে। অগুরত্বপূর্ন স্থানে ব্রীজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন করতে গেলে কারো না কারো বাড়ির দিকে যেতেই হবে। আমি এলাকায় এত উন্নয়ন করেছি সেটা কেউ দেখে না বা লেখেও না।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাটিরাঙা উপজেলা (পিআইও) রাজ কুমার শীল বলেন, ‘ব্রীজের দুই পাশে মাটি ক্ষয় হওয়ার শঙ্কা থাকায় সংযোগ সড়কে ইট বিছানো হয়েছে। এছাড়া ছড়ার ওপারে ত্রিপুরা স¤প্রদায়ের একটি শশ্মান রয়েছে, তায় কম বসতি হওয়ার পরও এখানে ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় ছড়ার ওপারে কোন শশ্মান নেই। মূলত, মাটিরাঙা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হিরণজয় ত্রিপুরা’র পৈতৃক বাড়িতে যাতায়াতের জন্যই ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১২৯ টাকা ব্যয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে।
4 মন্তব্য
এটা কেমন হেডলাইন? টিআরপি বাড়ানোর জন্য? ঐদিকে আর বসতি হবেনা?
জোর যার মুল্লুক তার
নির্মাণ করার পর কেন নিউজ
ডিজিটাল বাংলাদেশ