নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক ও জনসংহতি সমিতি এমএন লারমার পক্ষে থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন শেষে নীরবতা পালন করা হয়। মরদেহগুলো শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে নিয়ে আসার পর স্বজন ও সমর্থকদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরুর আগে উপস্থিত সমাবেশে জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা গ্রুপের রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বিভূরঞ্জন চাকমা ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপকে রাষ্ট্রীয় ভাবে নিষিদ্ধ করে আইনের আওতায় এনে বর্মা হত্যাকান্ডসহ পাহাড়ে সংগঠিত সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির শীর্ষ নেতার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে শুক্রবার দুপুরে নানিয়ারচরের বেতছড়ি এলাকায় দূর্বৃত্তের ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ৫জন নিহত ও ৮জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, শুক্রবার রাতেই নিহত ৫ জনের ময়নাতদন্ত খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়। রাতে ৩ জনের মরদেহে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও নিরাপত্তার জন্য বর্মা ও তার সহযোগীর লাশ খাগড়াছড়ি সদর থানায় রাখা হয়। শনিবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় মরদেহ গুলো সদরের তেতুলতলায় নেয়া হয়। জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। ঘটনা যেহেতু রাঙামাটির নানিয়ারচরে হয়েছে সেহেতু মামলাসহ আইনী প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট থানায় হতে পারে।