খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে রনি ত্রিপুরা (৩৫) নামে জনসংহতি সমিতি এমএন লারমার কর্মী নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পানছড়ি বাজারের শুকতারা আবাসিক বোডিংয়ের সামনে এঘটনা ঘটে। রনি ত্রিপুরা পানছড়ির মরাটিলা এলাকার মৃত মনীন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) দুলাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় শুকতারা বোডিংয়ের সামনে দুর্বৃত্তেরা রনি ত্রিপুরাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত রনি ত্রিপুরা জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা গ্রুপের কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে সে শুকতারা হোটেলে অবস্থান করছিল।
জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা গ্রুপের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা নিহত রনি ত্রিপুরাকে যুবসমিতি পানছড়ি থানা কমিটির সদস্য দাবী করে হত্যাকান্ডের জন্য প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক নিরন চাকমা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মে মাস থেকে পানছড়ি বাজারের শুকতারা বোডিংয়ে অবস্থান নেয় জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের লোকজন। এর জেরে ২০ মে থেকে পানছড়ি বাজার বর্জনে সাধারণ পাহাড়ীদের ওপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত পানছড়ি বাজারের অচলাবস্থা কাটেনি।