প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি সকালে উপজেলা পরিষদ থেকে চালকসহ একটি মোটর সাইকেলে সরকারি দলের এক নেতার সাথে দেখা করতে আদালত সড়কের দিকে আসেন। ফেরার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁকে প্রেসক্লাবের সামনে থামিয়ে মাথায় ইট ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এসময় তাঁর আর্ত চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা গা ঢাকা দেন।
চঞ্চুমনির স্বজনরা এই ঘটনায় সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতির’র শীর্ষনেতা পেলে বাবুকে দায়ী করা হয়েছে।
তবে জনসংহতি সমিতি’র পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সত্য নয় বলে জানানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) যা. নয়নময় ত্রিপুরা জানান, চেয়ারম্যানের মাথায় আঘাত গুরুতর। তাঁর বমি বমি ভাব লক্ষ্যনীয়। তাই উন্নত চিকিৎসার্থে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কি কারণে বা কারা এই হামলায় জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া চেয়ারম্যান মহাজনপাড়াস্থ নিজ বাড়ি ছেড়ে উপজেলা পরিষদের অফিস কক্ষেই অবস্থান করেন বলে জেনেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউপিডিএফ প্রধান প্রসিত বিকাশ খীসা’ র আপন মামাতো ভাই চঞ্চুমনি চাকমা জেলাশহরে সংগঠনটির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিশেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ইন্ধন যোগানো, বাবুছড়ায় বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপনে বিরোধীতাসহ উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমে সাম্প্রদায়িক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে।