নিহতরা হলেন, থলিপাড়া এলাকার চিরঞ্জিত ত্রিপুরা(৫৫) ও তার ছেলে কর্ণ ত্রিপুরা(৩০)। আহতরা হলেন, চিরঞ্জিতের স্ত্রী ভবেলক্ষী(৪৫) ও কর্ণ ত্রিপুরা স্ত্রী বিজলী ত্রিপুরা(২৮)। আহত দু’জনই খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কর্ণ ত্রিপুরার ৭ বছরের পুত্রসন্তান যুবরাজ ত্রিপুরা নিখোঁজ বলে দাবি করছে পরিবার।
আহত বিজলী ত্রিপুরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার সময় পরিবারের সবাই মিলে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। তখন খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার কালি বন্ধু ত্রিপুরা ২০-৩০ জন লোক নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় তাদের হাতে অস্ত্র, দা ও লাঠিসোঠা ছিল। আমার স্বামী ও শ্বাশুড়কে গুলি করার সময় বাধা দিলে আমাকে ও শ্বাশুড়ীকে দা দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলার পর থেকে আমার ছেলে যুবরাজ ত্রিপুরাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: অনুতোষ চাকমা জানান, নিহত কর্ণ ত্রিপুরার মাথা ও পায়ে গুলি করা হয়েছে। আহত দুইজনের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, ইউপি সদস্য কালা বন্ধু ত্রিপুরার সাথে নিহত চিরঞ্জিত ত্রিপুরা দীর্ঘদিন ধরে ভূমি, গত ইউপি নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিরোধ ছিল বলে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে। হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অভিযুক্ত কালি বন্ধু ত্রিপুরা সহ অন্যান্যদের পুলিশ খুঁজছে বলে জানান ওসি। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কালি বন্ধু ত্রিপুরাকে একাধিক বার কল করে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরের শহীদ কাদের সড়কে নিহত চিরঞ্জিত ত্রিপুরা ওপর হামলা করে কয়েকজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী। এতে তিনি মাথায় আঘাত পেয়ে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং গত কয়েক দিন আগে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কালি বন্ধু ত্রিপুরা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
2 মন্তব্য
পাহাড়ি নাকি বাঙালি
Ki karone aisop ghotona holo?