প্রত্যক্ষদর্শী উদায়ন ত্রিপুরা ও রূপা বালা ত্রিপুরা জানান, মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি বাজার থেকে চাঁদের গাড়িতে করে কালো বন্ধু ত্রিপুরা পরিবারের সদস্য ও সমর্থকদের নিয়ে থলিপাড়ার বাড়িতে যাচ্ছিল। মাইসছড়ি-নুনছড়ি সড়কের থলিপাড়া মসজিদের আগে নিহার কান্তি ত্রিপুরা ও হেমন্ত ত্রিপুুরা ৩০-৪০ জনকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক নয়নময় ত্রিপুরা জানান, নিহত ও আহতদের মাথা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের জখম রয়েছে। আহতদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রদীপ ত্রিপুরা ও যতন ত্রিপুরাকে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আম্রে মারমা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কালো বন্ধু ত্রিপুরা ও চিরঞ্জিত ত্রিপুরার মধ্যে ভূমি বিরোধ ছিল। দুইবছর আগে চিরঞ্জিত খুন হওয়ার পর থেকে এলাকা ছাড়া ছিল কালো বন্ধু ত্রিপুরাসহ তার স্বজন-সমর্থকরা। দীর্ঘদিন পর আজ এলাকায় ফেরার পথে তাদের ওপর হামলা হয়েছে শুনে হাসপাতালে দেখতে আসছি।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(মিডিয়া) এমএম সালাহউদ্দিন জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে কালো বন্ধু ত্রিপুরাসহ তার সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১১ মে রাতে ভূমি বিরোধের জেরে পিতা-পুত্র খুনের ঘটনায় প্রধান আসামী হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ও এলাকা ছাড়া ছিল নিহত কালো বন্ধু ত্রিপুরাসহ তার সমর্থকরা। দীর্ঘ দুই বছর পর নিজের বসত-বাড়িতে ফিরছিল কালো বন্ধুসহ তার সমর্থকরা।