খাগড়াছড়িতে বাড়ছে করোনার প্রকোপ
স্বাস্থ্য বিধি মানতে উদাসীন লোকজন
খাগড়াছড়িতে বাড়ছে করোনা পজেটিভ আক্রান্তের সংখ্যা। দীর্ঘ ৬৭ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক খুলেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস।
গতকাল সোমবার থেকে সীমিত আকারে শুরু হয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল। এতে খাগড়াছড়িতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন অনেকে। এতে নতুন করে সংক্রমণের হার বাড়ার ঝুঁকি বাড়ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে যানবাহন চলাচলে তদারকি রাখা হলেও জেলায় প্রবেশ করা লোকজনের তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। এতে করে বাহির থেকে যারা আসছেন তাদের হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের কোন হদিস থাকছে না।
খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির তথ্য মতে, গত ১ জুন থেকে সরকারের বেধে দেয়া ৬০ % অতিরিক্ত ভাড়ায় ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার পরিবহন চালু হয়েছে। কাউন্টার গুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশনা থাকলেও প্রথম দিন থেকে তা মেনে চলতে উদাসীন দেখা গিয়েছে অনেক যাত্রীকে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, জেলায় ২ জুন বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ৩৮ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। ৮৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৬২ জনের নমুনায় মিলেছে ৩৮ জনের পজেটিভ। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ জন। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে কিংবা যারা নিজ থেকে নমুনা দিতে চান তাদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখন সামাজিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হয়ে নিজের, পরিবারের ও প্রতিবেশীকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলায় এখনও একমাত্র প্রতিরোধের মাধ্যম।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হচ্ছে। জেলা সদর সহ বিভিন্ন উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তা নজরদারি করা হচ্ছে।