খাগড়াছড়িতে ব্যবসায়ীর মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধার
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ছোট মেরুং হাজাছড়া এলাকায় রাস্তার পার্শে পরে থাকা অবস্থায় মাথা বিহীন বিচ্ছিন্ন এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়,১০ জুন (শুক্রবার) ভোরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ছোট মেরুং হাজাছড়া এলাকায় রাস্তার পার্শে মাথা বিহীন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে অবগত করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় লাশটি একই এলাকার মৃত শফিউল্লাহ’র পুত্র চায়ের দোকানি জাহাঙ্গীর আলমের লাশ বলে শনাক্ত করে স্থানীয়রা। অনেক খুঁজাখুজির পরও বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায়নি।
নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম জানান, প্রতিদিন রাত ১ টায় আমার স্বামী দোকান থেকে বাসায় ফিরে। গতকাল গভীর রাতে আমার স্বামী বাসায় না ফিরলে প্রতিবেশীদের খবর দেই। পরে প্রতিবেশীরা খবর দেয় আমার স্বামীর মাথা বিহীন বিচ্ছিন্ন মরদেহ রাস্তার পাশে পরে আছে। আমাদের ৩টি কন্যা সন্তান। আমাদের দেখবে কে? আমার স্বামীর একটি চায়ের দোকান ছিল। দোকানটি নয়মাস পূর্বে চালু করেছেন তিনি। এরআগে আলাউদ্দিন সওদাগরের হোটেলে তিনি দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন৷
এলাকাবাসী বলছেন, নিহত জাহাঙ্গীর আলম একজন সহজ সরল প্রকৃতির লোক ছিলেন। তাদের ধারণা তার সাথে তেমন কারো শত্রুতা ছিলনা। তবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
এ ঘটনায় নিহতের প্রতিবেশী মৃত সুরুজ আলীর পুত্র পারভেজ হোসেন ও মৃত দুদু মিয়ার পুত্র উসমান গনি ও ভাতঘর হোটেলের মালিক আলাউদ্দিনসহ কয়েকজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
এই ব্যাপারে মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে পুলিশ। নিহতের বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায়নি।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম পেয়ার আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হলেও বিচ্ছিন্ন মাথার সন্ধান পাওয়া যায়নি।