খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় গৃহবধূ কোহিনুর বেগমকে যৌতুকের দাবিতে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার দায়ে স্বামী মো. শাহ আলমকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছে আদালত।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে না পাওয়ায় দীঘিনালার রশিক নগর গ্রামের বসতবাড়িতে স্ত্রী কোহিনুর বেগমের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী মো. শাহ আলম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১ অক্টোবর গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
আরো জানা গেছে, এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ছোট ভাই মো. আলম মিয়া বাদি হয়ে ২০০৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জেলার দীঘিনালা থানায় মামলা দায়ের করে। একই বছরের ৯ ডিসেম্বর পুলিশ চার্জশিট দাখিলের পর আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেছে।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট বিধান কানুনগো বলেন,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করায় আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা ও সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা যাবে।