খাগড়াছড়িতে সিরিজ বোমা হামলা ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ(জেএমবি) এর ১৯ সদস্যের বিরুদ্ধে আরো তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ রত্নেশ্বর ভট্টাচার্য্যরে বিশেষ আদালতের এ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের পাশাপাশি একইদিন আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে আগামী ৮ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে। পরে আসামীদের কড়া নিরাপত্তায় আদালত থেকে খাগড়াছড়ি কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। রোববারে তিনজন সহ এ মামলার ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে নয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে আদালতে ১৯ আসামীর মধ্যে জামিনে থাকা ৩ জনসহ ১৩ আসামী উপস্থিত ছিলেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি) এর পক্ষে এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন জানান, দেশের বিভিন্ন জেলায় মামলায় থাকায় ৬ আসামি আদালতে হাজির ছিল না। বাকী ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়ি আদালত প্রাঙ্গণ, মুক্তমঞ্চ সহ ৪ স্থানে সিরিজ বোমা হামলা করে জেএমবি। এঘটনায় খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ফাতেমা নগর এলাকা থেকে জেএমবি’র আঞ্চলিক কমান্ডার আরিফুল ইসলাম ওরফে নাসিরকে আটক করা হলে বেরিয়ে আসে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার চাঞ্চল্যকর তথ্য। একে একে ধরা পড়ে শায়খ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইসহ জেএমবি’র শীর্ষ নেতারা। ইতিমধ্যে সিরিজ বোমা হামলার মামলার ১৮ আসামীর মধ্যে অন্যতম দুই আসামী শায়খ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। বেলাল হোসেন নামে একজন আসামী পলাতক রয়েছে।