খাগড়াছড়িতে ৫০০ হেক্টর পাহাড়ি ভূমিতে চা চাষ সম্প্রসারণের উদ্যোগ
তিন পার্বত্য জেলার অনাবাদী ও প্রত্যন্ত এলাকার পাহাড়ি জমিতে চা চাষের জন্য উপযুক্ত। পাহাড়ের মাটি, আবহাওয়া-জলবায়ু এবং ভূ-প্রকৃতি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরই)-এর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের দারিদ্র্য দূর করতে এখানে চা চাষ সম্প্রসারণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই অংশ হিশেবে বান্দরবান জেলায় ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ প্রকল্প’-এর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। খাগড়াছড়িতেও এবার পাঁচ’শ হেক্টর চা চাষ করা হবে।
আজ শুক্রবার (২০নভেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউজে বিটিআরই-চট্টগ্রাম উপকেন্দ্র আয়োজিত চা চাষী এবং সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানান, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জহিরুল ইসলাম।
এসময় খাগড়াছড়ি রিজিয়নের প্রতিনিধি মেজর সালাউদ্দিন এবং বিটিআরই-এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: মশিউর রহমান আকন্দ।
সভায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার খেদারমারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার চাকমা, খেদারমারা ক্ষুদ্র চা চাষী সমিতির সভাপতি কর্ণমনি চাকমা জানান, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে চা বোর্ডের নিবন্ধিত হবার পর এখন প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়’শ কেজি চা উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয়ভাবে কারখানা গড়ে উঠলে মানুষের মধ্যে আরো উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে।
সভায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সাবেক সা: সম্পাদক মুহাম্মদ আবু দাউদ, খাগড়াছড়ি রিপোর্টার ইউনিটি’র সভাপতি চাইথোয়াই মারমা, সমকাল প্রতিনিধি প্রদীপ চৌধুরী, বিটিআরই-এর উর্ধ্বতন কর্ম-সহকারি অজিত চন্দ্র চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।