খাগড়াছড়িতে ৭ মার্চ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আহবান করেছে পাহাড়ের আঞ্চলিক দু’টি সংগঠন। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন মুখোশ বাহিনী প্রতিরোধ দিবসের কর্মসূচি দিয়েছে। অন্যদিকে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রসিত সমর্থিত ইউপিডিএফের অগণতান্ত্রিকের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। একই এলাকায় দুই আঞ্চলিক সংগঠনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আহবান করায় জনমনে ভয়ভীতি কাজ করছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পক্ষকে কর্মসূচি পালনে অনুমতি দেয়া হয়নি জানিয়ে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ খাগড়াছড়ি সদরের উত্তর খবংপুড়িয়া এলাকায় নিহত হন অমর বিকাশ চাকমা। তৎকালীন শান্তি বাহিনী এই ঘটনার জন্য কথিত মুখোশ বাহিনীকে দায়ী করে প্রতিবছর এইদিনকে মুখোশ বাহিনী প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করে। প্রতিবারের মতো এবারও দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হওয়ায় পৃথক পৃথক ভাবে দিবসটি পালনের কর্মসূচি দিয়েছে।
প্রসিত সমর্থিত ইউপিডিএফ-পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি শাখার দপ্তর সম্পাদক সমর চাকমা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে ৭ মার্চ খাগড়াছড়ি সদরের উত্তর খবংপুড়িয়ায় শহীদ অমর বিকাশ স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ছাত্র-যুব-নারী সমাবেশ করার কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
অন্যদিকে, অপর আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সদস্য সুমন চাকমা জানান, প্রসিত সমর্থিত ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপের পাশাপাশি স্ব জাতি বিরোধী নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে ৭ মার্চ জেলা সদরের স্বর্ণিভর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ(প্রসিত সমর্থিত) খাগড়াছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা বলেন, পূর্ব ঘোষিত ৭ মার্চের কর্মসূচি ভন্ডুল করতে নব্যসৃষ্ট মুখোশ বাহিনী কর্মসূচি দিয়েছে। জনগণই তাদের প্রতিহত করবে।
স্বর্ণিভর এলাকার কয়েক জন ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশের অনুরোধে বলেন, এই বাজারে ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ। কিছুদিন পরপর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে আর সমস্যা হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা সবসময় ভয়ে থাকি।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান বলেন, ইউপিডিএফর কেউ কর্মসূচি পালনের জন্য অনুমতি পায়নি। কেউ যদি বিশৃঙ্খলতার চেষ্টা করে তা প্রতিহত করতে পুলিশের প্রস্তুতি রয়েছে।