করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিশেষ বরাদ্দে খাগড়াছড়ি জেলার ১০ হাজার গরীব, দুস্থ ও দিনমজুর পরিবারের পাশে দাঁড়াবে পার্বত্য জেলা পরিষদ।
গত সোমবার গণমাধ্যমে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাকে কোভিড-১৯’র বিপর্যয় থেকে মুক্ত ও নিরাপদ রাখতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী কাজ করছেন। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যেগের পাশাপাশি তিনি নিজেই মাঠপর্যায়ে সচেতনতমূলক প্রচারাভিযান, প্রতিরোধমূলক সামগ্রী যেমন মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ এবং গণপরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজে অংশ নেন। সংকট মোকাবেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদকে ৫০ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দিয়েছে। খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার পরামর্শে মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দিয়ে জেলাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলার দিনমজুর, ভবঘুরে, ভিক্ষুক, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, প্রান্তিক ব্যবসায়ীসহ নিম্ম আয়ের ১০ হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পার্বত্য জেলা পরিষদ। ১০ হাজার পরিবারের জন্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থে পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম ডাল, ৫০০ গ্রাম তেল ও ১ কেজি আলু দেয়া হবে। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে খরচ হবে ৪২ লক্ষ টাকা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তালিকা নিয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এডভোকেট আশুতোষ চাকমা নেতৃত্বে দীঘিনালা, রামগড় ও মানিকছড়ি উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে। খগেশ^র ত্রিপুরার নেতৃত্বে পানছড়ি, মহালছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় এবং নির্মলেন্দু চৌধুরীর নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি সদর, মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা এসব কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে স্বাস্থ্য বিভাগকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫০০ পিস পিপিআই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী) প্রদান করা হয়েছে। বাকী অর্থ রিজার্ভ ফা-ে জমা রাখা হয়েছে।