খাগড়াছড়ি শহর থেকে এই লেকে’র দূরত্ব যেকোন পরিবহন দিয়ে মাত্র ২০ মিনিটের পথ। পাহাড়ের উঁচু-নিচু ৪০ একর জায়গায় নিসর্গময় ১৫ একর লেকের মাঝখানে দ্বীপের মতো গড়ে উঠেছে পর্যটন স্পটটি। এই পর্যটন স্পটের জন্য সার্বক্ষনিক সহযোগীতা করছেন পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম। তাঁর পরিকল্পনায় ও বাস্তবায়নে পানছড়ি উপজেলাধীন লতিবানস্থ কংচাইরী পাড়ায় গত ৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এর লেকে’র ‘মায়াবিনী’র লেক পর্যটন হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
লেকটি’র স্বচ্ছ পানির প্রবাহমান ধারা নিঃসন্দেহে মুগ্ধ করবে সকল বয়সী ভ্রমন পিপাসুদেরকে। দ্বীপের মধ্যে আছে পর্যটকদের জন্য একটি দর্শণার্থী বিশ্রামাগার। ভ্রমণ পিপাসুদের ভ্রমন সুবিধা রয়েছে ৪টি নৌকার ব্যবস্থা। তবে স্পীড বোট থাকলে আরো লেকে’র অল্প সময়ে ঘুরে বেড়ানো যেতো। বন্ধুরা মিলে বেড়াতে যেতে পারেন আবার পারিবারিক ভ্রমণের জন্যেও চমৎকার পর্যটন স্পটটি। একা একা চুপচাপ নির্জনে সময় কাটাতে চাইলেও পারবেন ‘মায়াবিনী’র লেকের সীমানার মধ্যেই। মোট কথা জেলা শহরের খুব কাছেই আপনার সময়টি অসাধারণ কাটবে।
গত ৭ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই লেককে ‘মায়াবিনী’র লেক পর্যটন হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা পর দিনদিন মায়াবিনী লেকে’র পর্যটনে পর্যটকে সংখ্যা বাড়ছে।
মায়াবিনী লেক’র যেমন পরিচ্ছন্ন তেমনি মনোরম পরিবেশ, আবার নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। তাই খাগড়াছড়ি মায়াবিনী লেক’র কাছাকাছি ভাইবোনছড়াতে রাবার ড্রাম,বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের উপসনালয় অরন্য কুঠিরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে সুবিধা রয়েছে।

কীভাবে যাবেন:
ঢাকা হতে শান্তি, এস আলম ,হানিফ, ইকোনো , শ্যামলী, সৌদিয়া এসি /নন এসি পরিবহনের মাধ্যমে সরাসরি যেতে পারেন খাগড়াছড়িতে। খাগড়াছড়ি থেকে পানছড়ি উপজেলা সড়কের দিকে সিএনজি অথবা মাহিন্দ্র পরিবহন করে যেতে হবে সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া বাজারে। সেখান থেকে পশ্চিম দিকে পাঁচ মিনিটে কংচাইরী পাড়াতে মায়াবিনী লেকে যেতে পারবেন। মায়াবিনী লেক’রর পিকনিকের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার সুবিধাও রয়েছে। সেখানে মায়াবিনী লেকে’র তত্ত্ববধায়ক হিবেবে দায়িত্ব পালন করছে অংহ্লা প্রু মারমা। তার সাথে যোগাযোগ করে যেতে পারেন মায়াবিনী লেকে’র মোবাইল নং ০১৫৫৩৬৬৯৫৯৬।