লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্যাতিত বাঙালীদের অধিকার নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে নব্বই দশকের দিকে গঠিত হওয়া ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে সাধারণ বাঙালীদের পাশাপাশি আওয়ামীলীগ-বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা ছিলেন। কিন্তু পার্বত্য চুক্তি পরবর্তী সময়ে অনেকে বাঙালী ছাত্র পরিষদ ছেড়ে যাওয়ায় জামাত-শিবির পন্থীরা কৌশলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংগঠনকে জামাত-শিবিরের সংগঠনে রূপ দেয়। সম্প্রতি সময়ে চট্টগ্রামের একটি কমিটিতে শিবিরের এক কর্মীকে রাখতে বিরোধীতা করায় আমাদের সাথে দূরত্ব তৈরী হয়। এছাড়া খাগড়াছড়িতে স্বার্থান্বেষী একটি মহলের নেতৃত্বে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্তে রাজি না হওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে বহিস্কারের ধোয়া তুলেন। কিন্তু যারা বহিস্কারের কথা বলছেন তারা কে? তারা কী আমাদের বহিস্কারের ক্ষমতা রাখে না। ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে জামাত শিবিরদের পিবিসিপি কমিটিতে প্রতিহত করার হুশিয়ারী দেয়া হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদ্য বহিস্কৃত পিবিসিপি খাগড়াছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম।
অন্যদিকে পিবিসিপি’র প্রতিষ্ঠা সভাপতি দাবি করা পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান আলকাছ আল মামুন ভূইঁয়া মুঠোফোনে জানান, বহিস্কৃতরা সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারা সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী এবং বেআইনী। জামাত-শিবিরের ধোয়া তুলে তারা সংগঠনের মান মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মে পিবিসিপি’র উদ্যোগে খাগড়াছড়ি শহরের মুক্তমঞ্চে মহাসমাবেশের ডাক দেয় কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মজিদের অনুসারীরা। মহাসমাবেশ পন্ড করতে একইদিন খাগড়াছড়ি শহরে হরতালের ডাক দেয় পিবিসিপি’র খাগড়াছড়ি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈন উদ্দিনের অনুসারীরা। এর জের ধরে গত ২০ মে রাতে খাগড়াছড়ি শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে খাগড়াছড়ি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়।