দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে সাধারণত প্রধান অতিথি হিসেবে আসনে থাকেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু একটি দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ায় এবারের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সেই চেয়ারে ছিলেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভার অধিকাংশ বক্তাই জানান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডনে রেখে তারা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে রয়েছেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারকে নিন্দা ও ঘৃণা জানাই।’
তিনি বলেন, বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে ভোট ছাড়া আবারো ক্ষমতায় যেতে চায় সরকার। কিন্তু তথাকথিত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হতে দেয়া হবে না।’
স্বৈরাচারী সরকার হিসেবে বাংলাদেশের নাম আসা নিয়ে সরকারি দলের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা বলছেন জার্মানের প্রতিবেদন নাকি মিথ্যা। যে সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসে তারা গণতান্ত্রিক নয়, স্বৈরাচারী সরকার হবে। এখানে কোনো মিথ্যা নয়, সঠিক তথ্য।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘শেখ হাসিনা জোর করিয়ে হাত তুলিয়ে ভোটের ওয়াদা করাচ্ছেন। আর বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে। এটা স্বৈরাচারী সরকারের কাজ। গণতান্ত্রিক সরকারের কাজ হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘এটা কারো ডিনাই করা বা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এটা ঐতিহাসিক সত্য।’
উন্নয়নশীল দেশ হতে জাতিসংঘ যে ছয়টি শর্ত পূরণের কথা বলা হয়েছে এই সরকার তা কোনোদিন পূরণ করতে পারবে না বলেও দাবি করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যদের মধ্যে জমির উদ্দিন সরকার, মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, এজেড এম জাহিদ হোসেন, শাজাহান ওমর, আব্দুস সালাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
এছাড়াও আতাউর রহমান ঢালী, শরিফুল আলম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আব্দুস সালাম আজাদসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।