সরকারী সহযোগিতার অভাবে পিছিয়ে পড়ছে বান্দরবান সদর উপজেলার ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের উত্তর সুলতানপুরের দারুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসা ও এতিমখানা শিক্ষা কার্যক্রম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে স্থানীয় গুটি কয়েক জনসাধারণ একত্রিত হয়ে উত্তর সুলতানপুরের দারুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসা ও এতিমখানাটি প্রতিষ্টা করেন। যদি ও বা ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চালু হয় নার্সারী শ্রেণি নিয়ে। প্রতিষ্ঠার পর ৪বছরে এসে বর্তমানে মাদ্রাসায় ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে নার্সারী থেকে ৪র্থ শ্রেণিতে এসে পৌঁছালেও নানা সমস্যায় জর্জরিত অবস্থায় কোন রকমে চলছে মাদ্রাসার শিক্ষাকার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের নেই বসার স্থান ও পর্যাপ্ত অবকাঠামো। তাই খোলা আকাশের নিচে শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি। অন্যদিকে ৫জন শিক্ষকের বেতন ৭জন এতিম শিক্ষার্থীর খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির।
উত্তর সুলতানপুরের দারুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী,মো. কামরুল হাসান বলেন, আমাদের মাদ্রাসা বসার কোন বেঞ্চ নাই,নাই কোন ক্লাস রুম, নাই বিদ্যুৎ। ক্লাস রুম না থাকায় খোলা আকাশের নিচে আমাদের ক্লাস করতে হয়, বর্ষা আসলে পাঠদান ব্যাহত হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী কলি আক্তার বলেন,খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হয় আমাদের। সামনে বৃষ্টির দিন আমরা কি করে ক্লাস করবো। এখন আমরা মাটিতে বসে ক্লাস করছি।
আরেক শিক্ষার্থী মো: জসিম বলেন,ক্লাস রুম না থাকার কারণে আমরা মসজিদের ভিতরে ক্লাস করি। আমাদের এখানে ক্লাস রুম আছে দুইটি, এর মধ্যে আমরা বসতে পারি না, তাই খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হয় ।
উত্তর সুলতানপুরের দারুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসা ও এতিমখানা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এরশাদুল আলম বলেন, আমরা অনেক কষ্টে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের বসার জন্য জায়গা দিতে পারি না।
তিনি আরো বলেন, সামনে আসছে বর্ষাকাল, আমরা এখন থেকে চিন্তিত যে আমাদের এতো গুলো শিক্ষার্থীদের আমরা কোথায় নিয়ে ক্লাস করাবো। আমরা সরকারের কাছে একটা অনুরোধ করবো যাথে করে আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পড়াশুনো চালিয়ে নিতে মাদ্রাসায় কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করে শিক্ষা ব্যবস্থা কে আরো গতিশীল করতে সরকার সহযোগিতা করে।
উত্তর সুলতানপুরের দারুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি মো. হারুন অর রশীদ বলেন,আমি বান্দরবান ৩০০ নং আসন থেকে নির্বাচিত পর পর ৬ষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির দৃষ্টি আর্কষণ করছি যাতে করে আমাদের এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এই শিক্ষা কার্যক্রাম চালিয়ে নিতে সহযোগিতা কামনা করছি।