গুইমারায় ট্রাকে আগুন : নিহতের পরিবারের ৯ সদস্য এখন দিশেহারা
খাগড়াছড়ির গুইমারার হাফছড়ি এলাকায় গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) খাদ্যবাহী ট্রাকে দূর্বৃত্তদের আগুনে দগ্ধ চালকের সহকারি মো: বেলাল হোসেন ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিউটে মারা গেছেন। তাঁর বাড়ি মাটিরাঙা উপজেলা সদরের পৌর এলাকায় ৪নং ওয়ার্ডের আদর্শপাড়া এলাকায়। তাঁর বাবার নাম: জাহিদুল হক। পরিবারে তাঁর দুই স্ত্রী এবং সাত ছেলেমেয়ে নিয়ে নয় সদস্যের সবাই বেলালের আয়ের ওপরই নির্ভরশীল।
মাটিরাঙা পৌর আওয়ামীলীগের সা. সম্পাদক নুরুল ইসলাম জানান, বেলাল একজন পরিবহন শ্রমিক হলেও মানুষ হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত। কঠোর পরিশ্রম করেই তিনি পরিবার চালাতেন। তিনি একার আয়ের ওপরও পরিবার চলতো। এখন বেলালের মৃত্যুতে পরিবারটির দিশেহারা অবস্থা।
খাগড়াছড়ি জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুপান্তর চাকমা জানান, গাড়িতে ১৫ টন চাল ছিল। বেশ কিছু বস্তার চাল পুড়ে গেছে। গাড়িটি এখন গুইমারা থানায় রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশের টহলের গাড়ি যাওয়ার পর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে গুইমারা উপজেলায় হাফছড়ি ইউনিয়নের হাফছড়ি এলাকার মহাসড়কে মাটিরাঙ্গা থানার তাইন্দং ইউনিয়নগামী সরকারি চাল বহনকারী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-৭৮৮৩) রাস্তায় গাছ ফেলে আটকে দিয়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা, এতে হেলপার ও ড্রাইভার গুরুতর আহত হয়।
গুইমারা থানার ওসি রাজিব কর জানান, ওই এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের টহল ছিলো। টহলরত পুলিশের সদস্যরা চলে আসার পর এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন এবং আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মানিকছড়ি হাসপাতালে পাঠান। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি থানায় হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে অপরাধ সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। সন্দেহজনকভাবে বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও সরকারদলীয় এমপি প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা জানিয়েছেন, পরিবারটির আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। তাই আমরা দলীয়ভাবে সম্মিলিত উদ্যোগে পরিবারটির পাশে দাঁড়াবো। এবং অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিতের জন্য আইনী সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো।