গ্রামীণ ব্যাংককে নতুন ভূমিকায় দেখতে চান মুহিত

NewsDetails_01

মুহাম্মদ ইউনূসের ‘প্রতিবন্ধকতা’ পেরিয়ে গ্রামীণ ব্যাংককে নতুন ভূমিকায় পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ডিভিশনের পক্ষ থেকে নববর্ষের শুভেচ্ছা গ্রহণের পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মুহিত বলেন, “ইউনূস সাহেবের বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতামূলক কাজকর্ম থাকা সত্ত্বেও আমরা গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে ভাবছি। উই শুড রিভাইভ ইট। আই হ‌্যাভ অলরেডি কমিশনড সার্টেন পিপল টু লুক ইনটু দিস ইস্যু যে, কীভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য একটা নিউ রোল সৃষ্টি করা যায়।
“গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামসুল বারী বেশ রিলাকটেন্ট ছিলেন এই ব্যাপারে। কিন্তু হি হ্যাজ এক্সেপ্টেড দিস চ্যালেঞ্জ। তিনি সেটা গ্রহণ করেছেন। এটা নিয়ে কাজও করছেন।”
প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে গ্রামীণ ব‌্যাংকে সম্পৃক্ত থাকা অধ‌্যাপক বারী ব‌্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা ব‌্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ বলেও অর্থমন্ত্রী জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ‌্যালয়ের অর্থনীতির সাবেক শিক্ষক ইউনূস গত শতকের ৮০ এর দশকে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গ্রামীণ ব‌্যাংকের ব‌্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। এই দায়িত্ব পালনের মধ‌্যেই ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার পান তিনি।
মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০১১ সালের ২ মার্চ গ্রামীণ ব্যাংকের ব‌্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ইউনূসকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়েও হেরে যান তিনি।
তারপর থেকে সরকারের সঙ্গে নোবেলজয়ী এই বাংলাদেশির সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। পাল্টাপাল্টি বক্তব‌্যও এসেছে বিভিন্ন সময়।
অপসারণের পরও ইউনূসের কারণেই গ্রামীণ ব‌্যাংকের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছিল না বলে অর্থমন্ত্রী অভিযোগ করে আসছিলেন।
রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবন রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবন
অপসারণের পরও পাঁচ বছর রাজধানীর মিরপুরের গ্রামীণ ব‌্যাংক কমপ্লেক্সেই ছিলেন ইউনূস। সম্প্রতি তিনি ওই বাসা ছাড়েন।
ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়েও অর্থমন্ত্রীর পদে ছিলেন মুহিত। এই ব‌্যাংকটির ৩০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সরকারের হাতে।
মুহিত বলেন, “আমরা বহুদিন এই সম্পর্কে কোনো কিছু করি নাই। এখন ঠিক করেছি, না এটাকে এভাবে ছেড়ে দেওয়া যায় না। ‌ এটাকে এখন মানুষ করা দরকার।”
ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের এই ব‌্যাংকে এখন সাপ্তাহিক কিস্তি আদায় তুলে দেওয়ার পক্ষপাতি অর্থমন্ত্রী। তার মতে, এক সময় প্রয়োজন থাকলেও এখন তার কোনো প্রয়োজন নেই।
“এখন যেটা ডিফল্ট (ঋণ খেলাপি) হয়, সেটা প্রায় ১০ শতাংশ বা তারও কম। ৮২ সালে আমি যখন প্রথম মন্ত্রী হই, তখন এটা ৪০ শতাংশের বেশি ছিল। যে জায়গায় এখন এটা ৮-৯-১০ শতাংশ হয়। আরও কমানো উচিৎ।”
মুহিত বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংকের দুটি উদ্দেশ্য ছিল, ক্রেডিট ইজ দ্য রাইট অব পুওরেস্ট ব্যাংক। হেবিট অব পেমেন্টকে রেগুলারাইজ করতে হবে। এই দুটাই ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত।
“দেশে এখন গ্রামীণ ব্যাংকের মতো বহু কর্মসূচি রয়েছে। অসংখ্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প আছে। এটার অগ্রদূত হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক, একে এখন রেলেভেন্ট করতে হবে। এটাকে রেলেভেন্ট করার ইচ্ছা আমাদের।” সূত্র : বিডিনিউজ২৪

আরও পড়ুন