ছবি মার্মাকে নতুন ঘর তুলে দিলেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

NewsDetails_01

ছবি মার্মাকে নতুন ঘরের জন্য ঢেউটিন তুলে দিচ্ছেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ২ নং রাইখালী ইউনিযনের ডলুছড়ি- নোয়াপাড়া ওয়ার্ডের নোয়াপাড়ার একটি নির্জন স্থান। জনমানব শূণ্য একটি মাত্র মাটির ঘর। বৃষ্টি হলে পানি পরে ঘরে, আবার রোদে পুড়ে ঘরের লোকজন। ঘরের সদস্য মাত্র ২ জন। ছবি মার্মা আর তার স্বামী খিলুঅং মার্মা। সন্তানহীন এই দম্পতির নিজের কোন জায়গা নেই। পরের জায়গায় চিলে কৌঠার একটি ঘরে বসবাস তাদের। স্বামী দিনমজুর, পরের ক্ষেতে খামারে কাজ করে সংসার চলে,আবার সবসময় কাজ থাকে না। এই যেন নুন আনতে পানতা পুড়ায় অবস্থা। আর এই চিত্র কিছু সংবাদকর্মী থেকে জানতে পেরে ছবি মার্মার ঘর সংস্কার করার উদ্যোগ নিলেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় তিনি এক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ছবি মার্মার জন্য নিয়ে গেলেন নতুন এক বান্ডিল টিন এবং সাথে নিয়ে গেলেন ২ জন শ্রমিক। কর্নফুলি নদী হতে দূর্গম এই পথ পাড়ি দিয়ে ছবি মার্মার হাতে তুলে দিলেন টিন এবং নগদ ৩ হাজার টাকা প্রদান করলেন মেরামত কর্মীদের।
এসময় ছবি মার্মা জানালো, তার মশারী নেই, ইউএনও আশ্বাস দিলেন মশারী প্রদান করবেন আজকে। এই সময় কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সভাপতি কবির হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
কথা হলো ছবি মার্মার সাথে, অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন রাইখালীর নোয়াপাড়ার খিলুঅং মার্মাকে। অভাবের সংসার নিজস্ব জমি জায়গা নেই, স্বামী পরের ক্ষেত খামারে কাজ করে। সরকারের কোন বড় অফিসার এই ঘরে আসবে তারা কল্পনাও করেনি। তিনি কৃতজ্ঞতা জানান কাপ্তাই ইউএনও রুহুল আমীনকে।
এই ব্যাপারে কাপ্তাই নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, কিছু সংবাদকর্মী থেকে জানতে পেরে অসহায় এই পরিবারের কথা। সাথে সাথে আমি পিআইও অফিসের দুইজন স্টাফকে বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য পাঠায়। তারা সরজমিন গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাই। তিনি আরো জানান, অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটা আনন্দের।
উল্ল্যেখ যে, রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইতিমধ্যে অনেক অসহায় পরিবারের ঘর মেরামত করে প্রশংসিত হয়েছে।

আরও পড়ুন