বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া শিক্ষকের নাম মো: ইউনুছ (৩২)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটলেও রাত ১১টায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীর পিতা রশিদ আহমদ জানান, ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে তার মেয়ে। এর আগে অসুস্থ্যতার জন্য সমাপনী মডেল টেষ্ট পরীক্ষার তিনটি বিষয় পরীক্ষা দিতে পারেনি। গত সোমবার ওই পরীক্ষায় পুন: অংশগ্রহণের জন্য স্কুলে যায় তার মেয়ে। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক মো: ইউনুছ তার মেয়েকে শ্রেণীকক্ষে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে এসে বিষয়টি তাকে জানালে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পরে বিকেলে ঘুমধুম তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে।

এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে অভিযুক্ত মো:ইউনুছের চাচা নুরুল আলম ঘটনাটি ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করে জানান, চলমান ইউপি নির্বাচনে তিনি মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা ও সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্বার্থনেষী মহল ষড়যন্ত্র মূলক মো: ইউনুছকে ফাঁসিয়েছে।
এই ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ছাত্রীর পিতা রশিদ আহমদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।