ছোটন শীল হত্যার ৩ সপ্তাহেও ঘাতক জীপ চালক ধরাছোঁয়ার বাইরে

আলীকদমে মানববন্ধন

NewsDetails_01

আমরা টাকা চাইনা, আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর বিচার চাই। আমার ভাইকে ঘাতক চালক পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। আমার ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পুনরায় গাড়ী চাপা দিয়ে মেরেছে ঘাতক চালক, আমার ভাইটার কথা মনে পড়লে এক দৌড়ে ভাইটার কাছে ছুটে যেতে মন চাই,আমার ভাইটা কোথায়? কিভাবে তার কাছে যাব? সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছোটন শীলের বড় বোন সাগরিকা শীল ঘাতক চালকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন।

আজ রবিবার (১৭ এপ্রিল) সাড়ে এগারটায় বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে উপজেলা ছাত্রলীগ ও বন্ধু মহলের উদ্যোগে গত ২৯ মার্চ বদুরঝিরি এলাাাকায় বেপরোয়া জীপ গাড়ীর চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মারা যাওয়া ছোটন শীলের ঘাতক চালকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ঘাতক জীপ চালাককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি লামা থানা পুলিশ, বরং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীকে বাচাঁনোর চেষ্টা করছে এবং বাদিপক্ষকে নানা ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। প্রকৃত আসামীকে ধরতে আরও কত সময়ের প্রয়োজন পুলিশের?

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামরুল হাসান টিপু, সমরঞ্জন বড়ুয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়িমং মার্মা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, সদর ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল মুবিন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামশুল আলম,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম,অন্বেষা শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষক ও নিহতের বন্ধু আতিকুল ইসলাম ও বিকাশ কর্মকার।

NewsDetails_03

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই আধুনিক যুগে পুলিশ একজন খুনিকে ধরতে এক সময় লাগছে কেন, নাকি পুলিশ ইচ্ছে করে ধরছেনা? বছরের পর বছর ধরে লামা-আলীকদম চকরিয়া সড়কে বাস-জীপ মালিকরা অদক্ষ চালক ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি চালাচ্ছে অথচ প্রশাসন অজানা কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছেন।

তারা আরও বলেন,গাড়ীর মালিক গাড়ি পরিবর্তন করে একটি অকেজো গাড়ীতে সেই সচল গাড়ীর লট নাম্বার লাগিয়ে লামা থানায় হস্তান্তর করেন? জীপ মালিক একা এই কাজ করতে পারে না সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা ছাড়া।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জীপ চালককে সনাক্ত হয়েছে এবং নজরদারিতে আছে। যেকোন সময় চালককে আটক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাদি মামলায় একটি লট নাম্বার উল্লেখ করছে সে নাম্বারযুক্ত জীপ গাড়ীটি আটক করেছি। গাড়ী পরিবর্তন হলে বাদি যে গাড়ি বলবে সেটিও আটক করা হবে। গাড়ি মূখ্য নয়, মূখ্য হল গাড়ীর চালক। মামলা হয়েছে গাড়ী চালকের বিরুদ্ধে। নিহতের মোটর বাইক পরিবারকে দিতে পারি কিন্তু একাধিক ওয়ারিশ থাকায় আদালত যাকে দিতে সিন্ধান্ত দিবে তাকেই বাইক হস্তান্তর করা হবে।

আরও পড়ুন