লামা বিদ্যুৎ ও বিতরণ বিভাগের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে লামা ও আলিকদমে বিদ্যুতের ৪০টিরও অধিক খুঁটি ভেঙে গেছে। গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে গ্রাহকদের মিটার।
লামা বিদ্যুৎ ও বিতরণ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মো. অলিউল বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে বিদ্যুতের ৪০টি খুঁটি ভেঙেছে এবং সঞ্চালন লাইনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। লামা সদরের বাজার এলাকাসহ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে লামা এবং আলিকদম দুই উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে কয়েক দিন।
একই কারণে ছয়দিন অন্ধকারে আছে অপর উপজেলা রুমা। রুমায় বিদ্যুতের গ্রাহক আছেন ৭০০।
এদিকে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ট্যাকনোলজিস্ট উবামং মার্মা জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ফ্রিজে সংরক্ষিত শিশুদের টিকা ভ্যাকসিনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. ফারুক বলেন, পাঁচদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। ব্যাংকের কাজগুলো এখন অনলাইনে করতে হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় গ্রাহকদের অনলাইনে হিসাব নিকাশ করতে পারছি না। গ্রাহকদেরও তাদের জামনো টাকা দিতে পারছি না।
রুমা বাজার এলাকার গৃহিণী ম্যায়ে নু মার্মা বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে সংরক্ষিত মাছ-মাংস ও ফলমূল নষ্ট হয়ে গেছে। মোমবাতি জালিয়ে শিশুরা পড়ালেখা করছে।
জেলা বিদ্যুৎ ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী চিংহ্লামং মার্মা বলেন, রুমা উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করছে। উপজেলায় শিগগরই বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে।