শনিবার বিকেলে দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম পাবলাখালী মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে এক ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় তিনি পাহাড়ের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
পবিত্র ত্রিপিটক আনয়ণ, ২৫৬২ বুদ্ধবর্ষ বরণ, রাজ কুমার সিদ্ধার্থের ধরাধমে আর্ভিভাব, বুদ্ধত্বজ্ঞান লাভ ও মহাপরিনির্বাণ দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত এই ধর্মীয় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পাবলাখালী মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ কর্মবীর শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরো।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ভগবান বুদ্ধের নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করলে একজন মানুষ কখনো মানবতাবিরোধী কোন কাজ করতে পারে না। পার্বত্য এলাকা সমস্যার কথা চিন্তা করে ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর শান্তি চুক্তির স্বাক্ষর করেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকার সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালিদের জন্য কিছুই করেনি।
তিনি পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সশস্ত্র তৎপরতা সম্পর্কে বলেন, অবৈধ অস্ত্র দিয়ে জনগণের ক্ষতি করলে, জনগণ ঘরে বসে থাকবে না। তারাও হঠাৎ সন্ত্রাসীদের এলাকা ছাড়া করতে রুখে দাঁড়াবে। বলে উঠবে। রক্তপাত সব সময় চলতে থাকলে উন্নয়নের বাধাগ্রস্ত হবে। বর্তমান সরকার এই এলাকায় সরকার স্কুল, রাস্তা, মন্দিরের যে উন্নয়নের কাজ করছে সেটা মূল্যায়ন করে আগার্মী প্রজম্মকে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আহবান জানান।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য শতরুপা চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র সিং চাকমা। অনুষ্ঠানে হাজারো দায়ক-দায়ীকা উপস্থিত ছিলেন।