জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : বান্দরবানের জেলা প্রশাসক

NewsDetails_01

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছেন, ‘সরকার মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কঠোর অবস্থানে আছে। সরকারের এই মুহূর্তে জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।’

আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্দ্যেগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা প্রথমত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের এলার্ট করেছি। একই সঙ্গে জনগণকে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দিতেও তাদের জানানো হয়েছে। এখন আমরা জরুরী সভা আহবান করেছি। সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নেব সীমান্তের মানুষদের আরো কিভাবে নিরাপদে রাখা যায় সেই বিষয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এলাকাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থ চিন্তা করেছি আমরা। গত শুক্রবার রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে মিয়ানমার থেকে গোলা এসে পড়লে কয়েকজন হতাহত হন। আমরা সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাত ১১ টার মধ্যে ঘুমধুমের এসএসসি পরীক্ষার সেন্টার পরিবর্তন করেছি। আমরা ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করেছি, ঠিক একইভাবে স্থানীয় জনসাধারণের বিষয়টি চিন্তা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’

NewsDetails_03

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়টি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। এটি ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য একটি অনুমোদিত কেন্দ্র।সীমান্তের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উৎকন্ঠা বিবেচনায় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রটি কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। শনিবার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের
পরীক্ষার্থীরা।

এর আগে শুক্রবার রাতে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বান্দরবান সীমান্তের ঘুমধুমের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কক্সবাজারে করা হয়েছে। এ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯৯ জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার ভূখন্ডে মাইন বিস্ফোরণে শুক্রবার দুপুরে অথোয়াইং তংচঙ্গ্যা (২২) নামে এক বাংলাদেশী যুবক আহত হন। এছাড়া একই দিন সন্ধ্যার পর নোম্যান্স ল্যান্ড এর কোনাপাড়া ক্যাম্প এর পাশে মর্টার শেল বিস্ফোরণে আহত মো. ইকবালকে (১৭) কক্সবাজারের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান। ওই ঘটনায় রোহিঙ্গা নাগরিক নবী হোসাইন (২২), ভুলু (৪০), সাবিকুন নাহার (৪৫), আনাস (১০), সাদিয়া (৯) নামে পাঁচজন আহত হন।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। গত ৩ সেপ্টেম্বর ঘুমধুম এলাকায় আরো দুটি গোলা এসে পড়ে। ৯ সেপ্টেম্বর একে ৪৭ এর গুলি এসে পড়ে তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মাইন বিস্ফোরণ ও গুলি-মর্টার শেল নিক্ষেপে হতাহতের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন