বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেছেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে গণহত্যাকারী, জনগণ তার ফাঁসি চায়। আমরা অস্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস করি না; জনগণের শক্তিই আমাদের আসল অস্ত্র। যারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করত, তারা আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।”
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাঙামাটির শহীদ আব্দুস শুক্কুর স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা অতীত ভুলে যাইনি। মইনুল হোসেনের বাড়ি থেকে যেভাবে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তা আমরা আজও স্মরণ করি। সেই দিনই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পরিণতি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। এটা প্রমাণিত যে, যারা অন্যের জন্য কবর খোঁড়ে, একদিন তারা নিজেরাই সেই কবরের শিকার হয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বিগত সরকারের আমলে সবকিছুর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম যুক্ত করা হয়েছে। এমনকি ‘বঙ্গবন্ধু লীগ’ নামেও সংগঠন গঠন করা হয়েছে। তাদের নেতাকে দেবতা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই প্রচারণাকে প্রত্যাখ্যান করছে।”

সোহেল বলেন, “আমরা সবাই এক—পাহাড় কিংবা সমতল, পার্বত্য চট্টগ্রাম হোক বা সমগ্র বাংলাদেশ। আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিবর্তনের নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে এই অঞ্চল, যা একদিন এশিয়ার অন্যতম ধনী অঞ্চলে পরিণত হবে।”
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, “দেশের জনগণ আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না। আগে জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়। সংস্কার সংস্কার বলে জাতীয় নির্বাচন বিলম্ব করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে।”
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশিদ বলেন, “আল্লাহর বিচার হয়, সেটার প্রমাণ শেখ হাসিনার পতন। ৫ আগস্ট তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। সেই শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে হবে, বিচার করতে হবে, ফাঁসি দিতে হবে।”
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম নিকৃষ্ট নেতা এবং তার পতন ও পলায়নের পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংকটাপন্ন উল্লেখ করে তিনি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান।”
সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক পার্বত্য উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, বিএনপি নেত্রী মৈত্রী চাকমা, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা বিএনপির নেতারা।