দুদকের রাঙামাটি জেলার উপপরিচালক শফিকুর রহমান ভুইঁঞার সঞ্চালনায় গণশুনানী অনুষ্ঠানে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম। গনশুনানী অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মো: মনিরুজ্জামান এবং চট্রগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক আকতার হোসেন।
এরপর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গনশুনানীতে প্রথম অভিযোগকারী সাংবাদিক আলমগীর কবির অভিযোগ করেন, ৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন নির্মানে নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযোগের জবাবে উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্ববধানে এলজিইডি এর উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ছাদ ঢালাইসহ বিভিন্ন নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। সুতরাং এ কাজে কোন দুর্নীতির প্রশ্ন আসেনা।
দ্বিতীয় অভিযোগকারি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী কাপ্তাই দশ শষ্যা হাসপাতালে ডাক্তার অনুপস্থিতির কথা জানালে দুদক কমিশনার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
কাপ্তাই বন বিভাগের সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ সভাপতি হেডম্যান থোয়াই অং মার্মা কাপ্তাই বন বিভাগের প্রশান্তি বিনোদন কেন্দ্রের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুললে তাৎক্ষিনকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের কাপ্তাইয়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা শরিফুল হককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক অভিযোগকারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুপ্তশ্রী সাহার গাড়ি বাড়ি থাকার কথা অভিযোগ করলে পি আই ও তা অস্বীকার করেন। এভাবে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকিনক ইনষ্টিটিউশান, বড়ইছড়ি নুরুল হুদা কাদেরি উচ্চ বিদ্যালয়, কর্ণফুলি পেপার মিলস লিমিটেড সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগিরা বিভিন্ন অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের প্রধানরা দুদক কমিশনারের উপস্থিতিতে এর ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
গনশুনানী অনুষ্ঠানে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অং সুই সাইন চৌধুরী,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত বিকাশ তঞ্চগ্যা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরনাহার বেগম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানীর শুরুতে সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ঝুলন দত্তের পরিচালনায় বড়ইছড়ি কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।