জাতীয় প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন ওয়াদুদ ভূঁইয়া
খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের শিক্ষাসহ সব সেক্টর ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এখন পার্শ্ববর্তী দেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং জাতীয় প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি টাউন হলে খাগড়াছড়ি জেলা জিয়া পরিষদের সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও জেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা জাকিয়া জিন্নাত বিথী, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, সাধারণ সম্পাদক এম.এন.আবছার, জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা জাকিয়া জিন্নাত বিথী, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আবদুল মালেক মিন্টু, মোশাররফ হোসেন ও অনিমেষ চাকমা রিংকু, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা ও দপ্তর সম্পাদক আবু তালেব, জেলা যুব দলের সভাপতি মাহবুবুল আলম সবুজ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদুল হোসেন সুমন, শিক্ষকনেত্রী টিন্তু ত্রিপুরাসহ সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, বিগত সরকারের আমলে যারা বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিল তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, চাকরিচ্যুত এবং শিক্ষকদের দুর্গম সীমান্ত এলাকার বদলী করে হয়রানি করা হয়েছে। আমরা কিছু বলতে পারিনি। বললেও লাভ হয়নি। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ছিলো একটি দুর্নীতির আঁখড়া। নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলো সবাই মিলে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সরকারের পতন হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে আমরা চাই প্রাণ খুলে কথা বলার অধিকার।
জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের জবাবে প্রধান অতিথি ওয়াদুদ ভুইয়া বলেন, আমরা বিগত স্বৈরাচারী সরকার হতে বিভিন্নভাবে হয়রানি, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পরে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতন হলেও তার দোসররা এখনো দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য পাঁয়তারা করছে। কাজে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সেসব ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। আমাদের দেশ এখন বৈষম্যমুক্ত। তাই সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান এবং বিএনপিকে সামনে জয় যুক্ত করে বৈষম্যমুক্ত পরিবেশে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সম্প্রীতি সমাবেশে জেলার সহস্রাধিক শিক্ষকসহ পেশাজীব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।