রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা দায়রা জজ আদালতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া বিতর্কিত সদস্য, পিপি, এপিপির অপসারন চেয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছে রাঙামাটি জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন।
আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা পরিষদের প্রধান গেইট বন্ধ করে দিয়ে তারা ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসুচি পালন করে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা কর্মসুচি স্থগিত করেন।
এদিকে অবস্থান কর্মসুচি চলাকালে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের গাড়ি কার্যালয়ের গেটে আসলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পরে চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে অফিস কক্ষে চলে যান।
কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের রাকিব হাসান ও মোস্তফা রাজুসহ আরো অনেকে।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত, বিগত সরকারের সময় সুবিধাপ্রাপ্ত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনের বিরোধীতা করা লোকজনকে সদ্য গঠিত জেলা পরিষদে ও জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের এসব পদে বসানো মানে ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা।
তারা বলেন, জেলা পরিষদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের মতামত নেয়া হয়নি। পার্বত্য উপদেষ্টার এহেন বৈষম্যমূলক আচরণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন মেনে নিবে না। তারা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়োগ পাওয়া বিতর্কিত ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ে অপসারণের দাবি জানান। দাবি মানা না হলে বৃহত্তর কর্মসুচি ঘোষনা করা হবে বলে তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এসময় রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইফুল ইসলাম পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বৈঠক করে দেওয়ার আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবস্থান কর্মসুচি স্থগিত করেন।