জ্বলছিল ঘর, প্রাণ গেল বোনের

ক্লান্ত ও ক্ষুধার তাড়না সহ্য করতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় গত সোমবার মৃত্যু হয় গোলছেমনের । গোলছেমন সম্পর্কে পেঠান আহমদের ছোট বোন। আর পেঠান আহমদ, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের নন্দিখালী এলাকার বাসিন্দা ।চোখের সামনেই প্রাণ যেতে দেখলেন ছোট বোনের, দেখলেন নিজ হাতে তিলে তিলে গড়া বসতভিটা পুড়িয়ে দেওয়ার আগুনের লেলিহান শিখা ।

মিয়ানমারের চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে পরিবারকে নিয়ে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের তিতারপাড়া এলাকায় এক আত্বীয়ের বাড়ীতে ।

NewsDetails_03

সেদিনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে পেঠান বলেন, বার্মার সেনাবাহিনী সহ স্থানীয় বৌদ্ধরা মিলে পাড়াগুলো পুড়িয়ে দিচ্ছে ।চোখের সামনেই জ্বলছিল দূরের পাড়াগুলো । তার কয়েক দিন পর ছাঙ্গিরবিলে দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়ীঘর । আর বুঝতে বেগ পেতে হলো না । তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম প্রাণভয়ে । পার্শ্ববর্তী ছালিপাড়ায় অবস্থান নিয়েছি আমরা। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মুসলিম পেঠান আরো বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দেওয়া আগুনে বাড়ীঘরের ধংসযজ্ঞ দেখার পরে পরিবারের এগারো সদস্যকে নিয়ে পাড়ি দিই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে। পাহাড়-জঙ্গল পাড়ি দিয়ে এক সপ্তাহ হাঁটার পর পৌঁছলাম নাফ নদীর কিনারায়।

নাফ নদী পাড়ি দিয়ে গাড়ীতে করে সোজা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে চলে আসে পেঠানসহ পরিবারের সদস্য । তবে মিয়ানমারে শান্তি ফিরে এলে নিজেদের জন্মস্থানে ফিরে যাবেন আশা করেন বয়সের ভারে নুয়ে পড়া পেঠান আহমেদ ।

আরও পড়ুন