ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে প্রশাসনের মাইকিং

NewsDetails_01

পাহাড় ধস (ফাইল ছবি)
ঘুর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের কারণে বান্দরবানের লামা উপজেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বর্ষণ অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসে জান মালের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। তাই দূর্ঘটনা এড়াতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝূুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদেরকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

গত তিনদিন ধরে উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণদের নিরাপদে সরে যেতে তাগাদা দেয় লামা তথ্য অফিস। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হলেও, কিছু পরিবার নিরাপদে কিংবা আতœীয় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও বেশিরভাগ এখনো সরে যায়নি। লামা পৌরসভা এলাকা. লামা সদর, গজালিয়া, রূপসীপাড়া, সরই, আজিজনগর, ফাঁসিয়াখালী ও ফাইতং ইউনিয়নে সাড়ে ৪ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

টানা বর্ষনের কারণে উপজেলার পাহাড়ি ঝিরি, খাল ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

শুক্রবার পর্যন্ত টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকরেও কোন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

NewsDetails_03

ইতিমধ্যে দূর্যোগকালীন সময় জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যোগাযোগের নম্বর সমূহ যথাক্রমে নির্বাহী অফিসার-০১৫৫০০০৭১৮০, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)-০১৮৪৫৭২৯৭২১ ও পিআইও সহকারী ০১৭১৭৭১৪৭৩৬।

আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দীন, ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন কোম্পানী জানান, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীদেরকে মাইকিং ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের মাধ্যমে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে। একই কথা জানালেন, রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রæ মার্মা, লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা।

পৌরসভা এলাকায় যারা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বার বার মাইকিং এর মাধ্যমে তাগাদা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি আশ্রয়গ্রহিতাদের জন্য শুকনো খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান, লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, ঘুর্নিঝড় তিতলির প্রভাব মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পাহাড়ে ঝুঁকিপুর্ণ বসবাসকারীদেরকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে তাগাদা দেওয়ার পাশাপাশি জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন