বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-লামাতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় সাড়ে ৩শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ আগষ্ট) সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের ঘুমধুম ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমকূল,ক্যাম্প পাড়া,ঘোনার পাড়া, হিন্দু পাড়া, বাজার পাড়া, ২নং ওয়ার্ডের কোনার পাড়া, মধ্যম পাড়াসহ অন্তত ২৫০ পরিবার।বাড়ির চালা পর্যন্ত পানি উঠে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১শ ৫০ পরিবার।
এছাড়া রাস্তার উপর দিয়ে ঢলের পানি প্রবাহিত ও পাহাড় ধসে গাছসহ মাটি রাস্তায় পড়ার কারনে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
অপর দিকে লামায় মাতামুহুরি নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার উপরে। এতে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি পৌর এলাকার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়ে তিন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় একশত পরিবার।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে আড়াইশ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। কিছু পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি পৌরএলাকার ১,২ও৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১শ পরিবার পৌর এলাকার তিন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকাবর্তী ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাটি তুলনামূলক নিচু হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়ে ৭০-৮০ পরিবার পানিবন্দি ছিল।তবে আজ বৃষ্টি না হলে পানি নেমে যাবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুপ চক্রবর্তী জানান, ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে আজ সকাল ৯ টায় মাতামুহুরি নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে ৪৩.৬ প্রবাহিত হওয়ার রেকর্ড লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।এছাড়া সাঙ্গু নদীর পানি এখনো পর্যন্ত বিপদসীমার নিচে (৯.৬) রয়েছে বলে জানান তিনি।
বান্দরবান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারনে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি পাত হচ্ছে। যা আরও কয়েকদিন হতে পারে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।