টেনশনহীন প্রার্থী পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

বান্দরবান আসন

NewsDetails_01

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান ৩০০ নং আসনে প্রতিদ্বন্ধীতায় বিএনপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস)র কোন প্রার্থী না থাকায় তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে টানা ৬ বারের নির্বাচিত এমপি, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং’কে এবারই প্রথম টেনশনহীন প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা করছে স্থানীয়রা।

২০১৮ সালের সাংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বীর বাহাদুর উশৈসিং, বিএনপি থেকে সাচিং প্রু জেরী, ইসলামী ঐক্যজোট থেকে মোঃ বাবুল হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন থেকে মোঃ শওকতুল ইসলাম প্রার্থী হলেও দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বীর বাহাদুর উশৈসিং, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ.টি.এম. শহীদুল ইসলাম (বাবলু) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মংঙোয়ে প্রু। ফলে হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের বীর বাহাদুরের শক্ত প্রতিদ্বন্ধী না থাকায় বীর বাহাদুরকে টেনশনহীন প্রার্থী বিবেচনা করছে ভোটাররা।

এই ব্যাপারে শহরের মধ্যম পাড়ার বাসিন্দা উথিং মার্মা বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিপরীতে শক্ত প্রতিদ্বন্ধী থাকলেও এবার নেই, ফলে নির্বাচনে জয়ী হতে টেনশনমুক্ত বীর বাহাদুর।

জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান ৩০০ নং আসনে বীর বাহাদুর উশৈসিং ১৯৯১ সালে, ১৯৯৬ সালে, ২০০১ সালে, ২০০৮ সালে, ২০১৪ সালে ও সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ষষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনে ৭ম বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আলোচনায় আসেন।

NewsDetails_03

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই আসনে আওয়ামী লীগের ডামী প্রার্থী হিসাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করছে ১৪ তম রাজা মংশৈ প্রু চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান মংঙোয়ে প্রু। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ১৯৮৫ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ.টি.এম. শহীদুল ইসলাম (বাবলু) কে অন্যতম প্রতিদ্বন্ধী মনে করা হলেও ভোটারদের কাছে তেমন পরিচিত নয় তিনি। তিনি জাতীয় পার্টির লামার সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন এবং বসবাস করেন, উপজেলাটির নুনার বিল এলাকায়।

জেলার লামা উপজেলার ফাইতং এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন জানান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী লামা উপজেলার বাসিন্দা হলেও ভোটাররা উনাকে তেমন চেনে না, অন্য ৬টি উপজেলার ভোটারদের কথা নাইবা বলছি, তাই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর টেনশন করার কিছু নেই।

৩০০ নং আসনের মোট ভোটার সংখ্যা: ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৯ জন। মহিলা: ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৪৪৬। পুরুষ: ১লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৮৩ জন। মোট জনসংখ্যা ৪ লক্ষ, ৪ হাজার ৯৩জন। ৭টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভা নিয়ে জেলার আয়তন : ৪ হাজার ৪শ ৭৯ দশমিক ০১। নির্বাচনী আসনের আয়তন: ৪ হাজার ৪শ ৭৯ দশমিক ০১।

এই বিষয়ে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর বলেন, প্রতিপক্ষ শক্ত বা দূর্বল এটা বিষয় নয়, আমাদের অবস্থান থেকে নির্বাচনের সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহন করেছি, যাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৭ম বারের মতো জয়ী হতে পারে।

আরও পড়ুন