ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

NewsDetails_01

রবিবার সকালে সিলেট থেকে বন্ধুদের নিয়ে এসেছে ধনঞ্জয় দাশ ধনু, চট্টগ্রামের লোহাগড়া থেকে এসেছে মনির। কিন্তু সকাল সকাল মনটা খারাপ হয়ে গেল তাদের। রাঙামাটির সিম্বল নামে খ্যাত ঝুলন্ত সেতুতে পানি উঠে যাওয়ায় সেতু উঠা, ছবি তোলার আনন্দ নিতে পারলো না। তাদের মত অনেক দর্শনার্থী মন খারাপ করে ফিরে গেছে আজ রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই।

টানা বৃষ্টির পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির সিম্বল অব খ্যাত পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতু এখন পানিতে ডুবে গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, সেতুর উপরে রবিবার সকাল ৯টায় ৬ ইঞ্চি পানি উঠে গেছে। ঝুলন্ত সেতু ডুবে যাওয়ায় পর্যটন কর্তৃপক্ষ রবিবার সকাল থেকেই পর্যটকদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

NewsDetails_03

দর্শনার্থী ধনঞ্জয় দাশ ধন ও মনির জানান, রাঙামাটিতে বেড়াতে এসে প্রথমে আসলাম ঝুলন্ত সেতু দেখতে। এসে দেখি পানিতে ডুবে আছে সেতুটি,পারাপারও বন্ধ। তাই মনটা খারাপ হয়ে গেল। এটিকে সংস্কার করে যাতে পানিতে ডুবে না যায় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।

জানা গেছে, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেলে ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফুট প্রস্থের এ সেতুটি পানিতে তলিয়ে যায়। সাধারনতঃ প্রতিবছরের আগষ্ট মাসে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে এ সেতুটি ডুবে যায়। দেশ- বিদেশের পর্যটকদের একমাত্র আকর্ষণীয় রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ ত্রুটির কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। এই সময়টাতে পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুর ওপর চলাচল নিষেধ করে দেয়ার ফলে প্রতিবছর এই খাত থেকে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাছে।

রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, গত কয়েক দিনের অতি বর্ষণে উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা অতিরিক্ত হারে বেড়ে গেছে। এতে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের অবস্থিত মনোরম ঝুলন্ত সেতু ডুবে গেছে। ফলে সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বৈচিত্রময় প্রকৃতির শহর রাঙামাটি উপভোগ করতে পর্যটকদের আগমনে ডুবে থাকা ঝুলন্ত সেতু তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না। সেতুটির সংস্কার বা পুনঃনির্মানের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন