তালিকা থেকে বাদপড়া শিক্ষকদের মাথায় হাত

রোয়াংছড়িতে জাতীয়করণকৃত ইউএনডিপি’র ১৬ বিদ্যালয়

NewsDetails_01

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ইউএনডিপি (সিএইচডিপিএফ) কর্তৃক ২০০৮ পরিচালিত ১৬টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিগত ২০ ফেব্রয়ারী ২০১৭ তারিখে জাতীয়করণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে উপজেলা জুঁড়ে যেন আনন্দ বিরাজ করে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে। দীর্ঘ ২বছর ৮ মাস পর জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অধ্যাবধি কর্মরত শিক্ষকদের ২০১৫ সালে হালনাগাদ তালিকা ভুক্ত শিক্ষকদের পুনরায় হালনাগাদকরণের লক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত পরিপত্রের আলোকে চলছে শিক্ষকদের যাচাই-বাছাই। এতে তৃতীয়বারের মত হালনাগাদ থেকে বাদপড়া শিক্ষকদের সেই আনন্দ যেন মিলিয়ে গেছে।

সূত্রে জানা গেছে,আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে ইউএনডিপি পরিচালিত বেসকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যাবধি পর্যন্ত কর্মরত শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বাছায় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেহেদী হাসান।

NewsDetails_03

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চহাইমং মারমা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: এসএম জাকারিয়া হায়দার,ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর মোমিনুল ইসলাম। যাচাই বাছাই শেষে চন্দ্র লাল তঞ্চঙ্গ্যা,হৃদয় তঞ্চঙ্গ্যারসহ আরো অনেক বাদপড়া শিক্ষকরা নানা অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০০৮-২০১১ ও ২০১৩ সালে প্রথম হালনাগাদ, ২০১৫ সালে দ্বিতীয় হালনাগাদ করা হয়। অতপর দীর্ঘ ৮ বছর ২ মাস পর বিগত ২০ ফেব্রয়ারী ২০১৭ জাতীয়করনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সরকার।

তারা আরো বলেন, জাতীয়করণ ঘোষণা হওয়ার পরপর ২০১৭ সালের পুনরায় তৃতীয় বারের মত কর্মরত শিক্ষকদের হালনাগাদ তালিকা করা হয়। এতে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে তালিকায় থেকে অনেক শিক্ষকরা বাদ পড়ে গেছে। বাদ পড়া শিক্ষকরা আবার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত না হলে মানববন্ধন করা হবে বলে জানা গেছে। তবে অনেক শিক্ষকরা স্কুল থেকে ছেড়ে চলে যাওয়ায় নতুন করে ২০১৭ সালে প্রনয়ণ করা শিক্ষকদের চূড়ান্ত তালিকা হিসেবে গ্রহণ করে অনলাইনে তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। তাই অনলাইনে থাকা তালিকা অনুযায়ী গ্রহণ করা দাবি উঠেছে।

এদিকে যাচাই বাছায় শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেহেদী হাসান বলেন, উধর্তন কর্মকর্তাদের প্রেরিত পত্রের আলোকে ২০১৫ সালে প্রনয়ণকৃত তালিকায় অনুযায়ী যাচাই বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু ২০১৫ ও ২০১৭ সালে চূড়ান্ত তালিকা থাকায় উধর্তন কর্মকতাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেয়া হবে।

আরও পড়ুন